পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলাহাবাদ। খাতা আছে। যাজমান লইয়া ইহারাই তীৰ্থকৃত্য করায় । কাশীর “কেশেল” ও গঙ্গাপুত্রের ন্যায়। গয়ার ‘গায়ালীর ন্যায় এবং মথুরার ‘চৌবেদিগের ন্যায় প্ৰয়াগী পাণ্ডারা ‘তীৰ্থ ব্ৰাহ্মণ' নহেন। ইহারা শুদ্ধস্বত্ব কনৌজিয়া ব্ৰাহ্মণ । এক পাণ্ডার অনুগৃহীত কয়েক জন নাপিত ধ্বজনিম্নে উপস্থিত । আছে। তাহারাই ক্ষৌরকাৰ্য্য সম্পন্ন করে। পাণ্ডারা যাত্রীর সামর্থ্য বুঝিয়া শ্ৰাদ্ধ ও দানাদির ব্যবস্থা করিয়া দেয়। যাত্রীরা যতক্ষণ কোন ধ্ববাজার নিম্নে গিয়া আশ্রয় না লয়, ততক্ষণ তাহদের নিস্কৃতি নাই। পাণ্ডাদিগের ধবজতল হইতে কেহ নদীতে সুমান করে না । সেখান হইতে দুর্গের কোণ ঘুরিয়া গেলে প্ৰকৃত সঙ্গমস্থল পাওয়া যায়। এই স্থানটী পাথর দিয়া বঁধান। সিঁড়িগুলি ভাল নাই, ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। ঘাটের ধারে সিঁড়িতে দাড়াইয়া স্নানের কোন সুবিধা নাই। নৌকার ভিড়ই বড় বেশী, তাহার উপর ঘাট ভাড়া, নৌকাগুলি ব্যবসায়ীর নৌকা নহে,- “ ঘাট-মাঝিদের নৌকা,-ইহারা প্ৰতি যাত্রীতে /০, y০, ৩/০, ॥০ লইয়া নদার মধ্যস্থলে যায় এবং সঙ্গমস্থলে নৌকা রাখিয়া দেয়। যাত্রীরা নৌকায় । বসিয়া যমুনার কালোজলে ও গঙ্গার শাদাজলে যেখানে মিশামিশি হইতেছে, সেইখানে ঘটী ডুবাইয়া জল তুলিয়া নৌকায় বসিয়া স্নান করে। ফুল, তুলসী, দুগ্ধ, পঞ্চামৃত, পঞ্চরত্ন এবং ক্ষীরের পেড়া, আতপচাউল, বাতাসা ও ফলকরা প্ৰভৃতি নৈবেদ্য এবং হরীতকী, আমলকী প্ৰভৃতি পঞ্চ ফল বিক্রেতার নৌকায় নৌকায় ঘুরিয়া বিক্রয় করে। যাত্রীরা এই সকল দ্রব্য সংকল্প সহকারে গঙ্গা-যমুনা-সঙ্গমে শ্ৰীবিষ্ণু শ্ৰীতিকামনায় উৎসর্গ করিয়া জলে ভাসাইয়া দেয়। যাহারা সন্তরণপটু। তাহারা নৌকা হইতে ঝাম্প দিয়া সঙ্গমস্থলে অবগাহন করে। তাহার পর উঠিয়া আসিয়া স্বীয় । পাণ্ডার ছত্রতলে বসিয়া পিতৃকাৰ্য্য ও দান করে। স্নানের পূর্বে গঙ্গাজল স্পর্শ করিয়া সংকল্প করিয়া ক্ষৌরী হইতে হয়। এই সময় ব্ৰাহ্মণভোজনাদি । করাইতে হয়। অন্যান্য তীর্থস্থানের ন্যায়। এখানে এই অর্থের বিশেষ অপব্যবহার হয় না, দানমাত্র ঘাটেই আহারার্থী ব্ৰাহ্মণ, সন্ন্যাসী ও কাঙালী পাওয়া যায় ও পাণ্ডারা দ্রব্যাদি আনিয়া যজমানের সম্মুখেই খাওয়াইয়া দেয়। লাভ যদি কিছু থাকে সে দোকানদারের সঙ্গে মূল্যের চুক্তিতে 88 \S)8(*