বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মে, ১৯০৯ ] ইচ্ছা বসন্ত রোগের চিকিৎসা। " சேது , ১৬৫ ৷ গ্রহণ না করিতে পারি তাবৎ প্রতি বৎসরে | করিলে, পরিপাক শক্তির ব্যতিক্রম হয়, অন্ততঃ প্রত্যেক সংক্রামক বৎসরে, টীকা লইতে সকলকেই পরামর্শ দিব । (৬) বসন্ত প্রাদুর্ভাবের সময়ে নিরামিষ আহার করিবার আদেশ সকলেরই মুখে শুনিতে পাই । ইহার কারণ কি ? ইহা কোনও চিকিৎসকের আদেশ নহে, ইহা গৃহস্থের আদেশ । মদগুর, সিংহ, কৈ প্রভৃতি মৎস্তের গাত্রে এই সময়ে (অর্থাৎ বৎসরের যে সময়ে বসস্ত রোগের প্রাদুর্ভাব থাকে, সেই সময়ে ) বসন্ত গুটীকার দ্যায় এক প্রকার গুটিকা দেখা যায় । জনসাধারণের বিশ্বাস যে ঐ গুটিকা ইচ্ছ। বসন্তের গুটিকা, অতএব মৎস্ত মাত্রেই বর্জনীয় । যদি ইহাই একমাত্র কারণ হয়, তবে ইহার বিরুদ্ধে অনেক প্রকারের যুক্তি দেখান যাইতে পারে। প্রথমতঃ, ঐরূপ গুটিক যে মুধু এই সময়ে দেখ দেয় তাহা নহে ; বৎসরের যে কোন সময়ে উহাদের দেখিতে পাওয়া যায় ; যাহারা ‘ লাল মাছ” পুষিয়াছেন, র্তাহার এই কথার প্রমাণ দেখাইতে পারেন । দ্বিতীয়তঃ, শঙ্কহীন মৎস্তের গাত্রেই উহাদের স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া গেলেও, সশস্ক মংস্তের গাত্রেও উহার হইয়া থাকে ; এইজন্য যদি শঙ্কহীন মৎস্ত খাওয়া নিষিদ্ধ হয়, তবে সশস্ক মৎস্তও নিষিদ্ধ হওয়া উচিত । তৃতীয়তঃ, ঐ গুটিকা আদৌ বসন্ত গুটিক নহে, উল্লাহ মৎস্তগাত্রসংলগ্ন কোনও পরাঙ্গ-পুষ্টজীবের দ্বারা সংঘটিত হইয়া থাকে। চতুর্থত; ৰ সন্ত ব্যাধি পরিপাক প্রণালী পথে রক্তে প্রৰিষ্ট হয় না । পঞ্চমতঃ, যে ব্যক্তির যাহা সাধারণ আহাৰ্য্য তাঁহার অকস্মাৎ পরিবর্তন শরীর দুৰ্ব্বল হইয় পড়ে, এবং কোনও ংক্রামক ব্যাধির প্রকোপ কালীন দৌৰ্ব্বল্য বাঞ্ছনীয় নহে । (৭) টীকা সম্বন্ধে এমন কি চিকিৎসক দিগের মধ্যেও অনেকটা অজ্ঞতা দেখিতে পাওয়া যায়। প্রথমতঃ টাকা দেওয়ার স্থানে ক্ষত হইলেই যথেষ্ট হয় না ; টাকার ফোস্ক (vesicle) চতুষ্পার্শ্বে যদি রীতিমত সিন্দুরাভা (areola ) না হয় এবং যদি সেই টকাক্ষতের স্পষ্ট দাগ বৰ্ত্তমান না থাকে, তবে সে টীকা না-মঞ্জুর । সাধারণত: ইচ্ছা বসন্তের ইনকুবেশন **{{I (incubation period) দ্বাদশ দিবস ; যদি কোনও ব্যক্তি কোনও বসন্ত রোগীর সংস্পর্শে আসিবার ৮ ঘণ্ট কালের মধ্যে গো বসন্তের টীকা লয় তৰে তাহার রক্ষা ; নতুবা তাহার পরে টীকা লইলে, ইচ্ছাবসন্ত বিষ শরীরে প্রবিষ্ট হইবার ৪৮-৭২ ঘণ্টার পরে টীকা লইলে, একই ব্যক্তির এককালীন গো ও ইচ্ছাবসন্ত এতদুভয় রোগেরই লক্ষণ প্রকাশ পায় । চিকিৎসা -—এক্ষণে জিজ্ঞাসা হইতেছে, ইচ্ছাবসন্তের চিকিৎসা কি ? এক কথায় এই প্রশ্নের সদুত্তর দেওয়া কঠিন । “ক ঠিন” কারণ আমরা রোগী চিকিৎসা করিতে বসিয়াছি, নামাঙ্কিত রোগ চিকিৎসা করিতে বসি নাই। এই কথাটি যত সহজে বলা হইল, তত সহজে বুঝান যায় না । সাধ্যমত এই কথাটি বুঝাইতে প্রয়াস পাইব । ইচ্ছাবসম্ভ একটি স্বতঃ সীমাবদ্ধ ব্যাধি, ইহার নির্দিষ্ট অবস্থা পরম্পর সকলই প্রকাশ পাইয়া, ব্যাধিটির আপনিই শান্তি হইয়া থাকে