বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবেম্বর, ১৯০৯ ] পচননিবারক ঔষধ । 8 এই যে, রোগজীবাণু প্রভৃতি সঙ্গীৰ প্ৰাণী দিগের উপর ঔষধের ক্রিয়া প্রমাণ করিতে গেলে, উহার রাসায়নিক উপাদান ব্যতীত আরও এমন কতকগুলি বাহ ব্যাপার আসিয়া পড়ে, যাহা নির্ণয় করা চিকিৎসকের পক্ষে অত্যন্ত দুরূহ হইয়া পড়ে । সেইজন্ত কেবল কতকগুলি নির্দিষ্ট পরীক্ষার পর সকল বিষয় সুচারুরূপে জানা যায় না। ব্যবহারের পূৰ্ব্বে স্পষ্টবোধগম্য থাকা উচিত যে, জীবাণুগুলির ংসের জন্ত আমরা কি উপায় অবলম্বনে ইচ্ছুক ; পচননিবারক ঔষধগুলি দিয়া তাহাদিগকে ধ্বংস করা আমাদের উদ্দেশ্য বা উহাদের জীবনীশক্তির হ্রাস করা ও তৎসঙ্গে বৰ্দ্ধনে বাধা দেওয়া আমাদের উদ্দেশু । এই প্রকার দুই উদ্দেশু সাধনার্থে কখনই এক মাত্রায় বা এক পরিমাণের ঔষধ কদাপি ব্যবহৃত হইতে পারে না । দুইএর অনুপাত অবশুই বিভিন্ন হইবে । ডাক্তার ক্রনিগ ও পল এই প্রকার উদেশ্ব ভেদে দেখাইয়াছেন যে, কোন প্রকার জীবাণুদিগকে তাহাদিগের পুষ্টি বা বৰ্দ্ধনশীলতার হানি করিয়া ধ্বংস করিতে গেলে অদ্যান্ত সকল বিষয় এক হইলেও এই মুখ্য উদ্দেশু সাধনার্থ পচনनिवांब्रक अवणैौ घन बां शांक्ल इeग्न छेल्लिङ । আর যদি একেবারে প্রথম হইতেই ঐ জীবাণু দিগকে মারিয়া ফেলা আমাদের উদেশ্ব হয়, তবে ঔষধের অন্তান্ত অবস্থা সত্ত্বেও ইহার কাৰ্য্য সময়ের উপর আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিত। প্রথম ক্ষেত্রে ঘনত্ব, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে যতক্ষণ ধরিয়া ঔষধট ব্যবহৃত হয় সেই সময়টা—এই পার্থক্য দেখা যাইতেছে। ডাক্তার পুউৰেনহিমার কতকগুলি ঔষধ দেখাইয়াছেন যে গুলির দুইটার মাত্রা প্রথম প্রকার ব্যবহারে (অর্ণাৎ জীবাণুদিগের বন্ধনে হানি করিয়া মারিয়া ফেলা ) এক হইলেও দ্বিতীয় ক্ষেত্রের (অর্থাৎ উহাদিগকে একেবারে প্রথমেই মারিয়া ফেলার ) মাত্রা বা পরিমাণ এক নয়। প্রথম উদ্দেশু সাধনার্থ দুইটীর মাত্রা এক হইতে পারে, কিন্তু দ্বিতীয় উদেপ্ত সাধনার্থ উহাদের মাত্রা এক না হইতেও পারে । উদাহরণ, যথা –টারপিনলের শতকরা একভাগ মাত্রার দ্রব ৫ ঘণ্টাতে ষ্টেফিলোকক্কাসূ পাইওজিনাসূ অরিয়াস জীবাণুদিগকে একেবারে মারিয়া ফেলে, কিন্তু ঐ ঔষধের ১৫০০০ ভাগে ১ ভাগ মাত্রার দ্রব ঐ জীবাণুদিগকে বাড়িতে দেয় না । সেই প্রকার ও-জাইলিনল (o-xylenol) পদার্থের শতকরা ১ ভাগ মাত্রার দ্রব ঐ প্রকার ষ্টেফিলোককৃকাসু জীবাণুদিগকে অৰ্দ্ধ মিনিটে নষ্ট করে,কিন্তু ঐ সকল জীবাণুদিগের বৰ্দ্ধনে বাধা দিবার জন্য ৭০০০ ভাগে ১ ভাগ মাত্রার o-xylenol এর দ্রব অবিশুক । আবার ইহাও বিবেচনা করা উচিত যে, ভিন্ন প্রকৃতির জীবাণু ভিন্ন প্রকারে বাধা পায়। ষ্টেফিলোকক্কাস জীবাণুদিগের বদ্ধনে বাধা দিবার জন্য ৫০০০ ভাগে ১ ভাগ মাত্রার থাইমলের দ্রব দরকার ; টাইফোসাসু জীবাণুর নিমিত্ত ১৮০০০ ভাগে ১ ভাগ মাত্রার থাইমলের দ্রব দরকার ; আবার ডিপথেরিয়া ব্যাধির জীবাণুদিগের জন্য ৩০০০০ ভাগে ১ ভাগ মাত্রার্থটুমলের দ্রব দরকার। অনেক সময় ঔষধটা কি মাত্রায় জীবাণু দিগকে বাড়িতে দেয় না ইহা জানা দরকার হইয় পড়ে অর্থাৎ ইহার এন্টিসেপটিক্‌