বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ ঐ সকল পক্ষাঘাতিক লক্ষণ সমূহের সহিত অন্যান্য স্নায়বিক লক্ষণ উৎপাদিত হয় এবং স্পাইনে বিশেষতঃ শেষ দুইখানি লম্বার ভাটিব্রিতে বেদনা অনুভব করে। কোন কোন রোগীর পীড়া আর বৃদ্ধি না হইয়। আরোগ্য লাভ করে । কিন্তু অপর রোগীর ঐ মুখকর ফল না হইয়া রোগের বৃদ্ধি হইতে থাকে, সামান্য অসাড়তা ( নম্বনেস্) অধঃশাখাদ্বয় হইতে ক্রমেই উদরে উপস্থিত হয়, এমন কি, দুই এক সময়ে ঘাড়ে ও ওষ্ঠস্বয়ে নম্ব নেস্ উপস্থিত হয়। অল্প শ্রমে কাতরতা, ঘন ঘন শ্বাসকার্য্য, হৃৎপিণ্ডের উপরে বেদনা, দুৰ্ব্বল বিষম নাড়ী, তৃষ্ণ, অক্ষিপল্লব, হস্ত ও পদদ্বয়ের সীমান্য স্ফীতি এই সকল লক্ষণ দেখিতে পাওয়া যায় ; এ অবস্থায় সময়ে সময়ে রোগী নিদ্রাবস্থায় কালগ্রাসে পতিত হয় । উপরোক্ত লক্ষণাবলী “বেরিবেরি’ রোগেই দেখিতে পাওয়া যায়, ইহাতে প্রথম আংশিক পক্ষাঘাত যাহাকে “পেরিসিল” কহে দেখা যায় তাহার পর এনিমিয়া উপস্থিত হয় কিন্তু কালা অাজারে প্রথম এনিমিয়া হয় এবং কখন সম্পূর্ণ বা আংশিক পক্ষাঘাত হয় না । ইহাতে এই পর্য্যন্ত স্থির হইল যে লঙ্কাদ্বীপে বা আসামে ইউরোপীয়ের। যাহাকে “বেরিবেরি’ বলে তাহীকে ( Anchylostominsis) wrtstfscatri;ŵifàatfia বলাই উচিত এবং তাহ আলকেম্সিন ও পিকেল হেরিং মামাজে বেরিবেরি নামে যে পীড়া দেখিয়াছিলেন তাহ পরম্পরে সম্পূর্ণ প্রভেদ। ভিষক-দৰ্পণ । | [ জুলাই, ১৮৯২ AMCHYLOSTOMA DUODENALES. ংকিলোস্টোমা ডিওডিনালিসের জীবন বৃত্তান্ত । য়্যাংকিলোস্টোমিয়ালিসূ-গ্ৰস্ত রোগী: মলে শত শত “ওভা” অগুfণু দেখিতে পাওয়া যায়। যদ্যপি এই ওভা-সংযুক্ত মল ভূমিতে নিপতিত হয় এবং তাহার প্রতি আমরা লক্ষ্য রাখি আর্দ্র এবং উষ্ণ বায়ুতে ২৪ ঘণ্টা পরে দেখা যাইবে যে সে স্থানে মলের গন্ধ নাই এবং অতি অল্প মলের অংশ তথায় আছে । যে স্থানে মল নিপতিত হইয়াছিল তথায় মৃত্তিক খনন করিয়া छूर्न করিয়াছে ও তজ্জন্য তথায় বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানার মত মৃত্তিক অণ্ড রহিয়াছে গোবরে পোকা ও ঐ জাতীয় কতকগুলি পোকা তথায় যাইয়া ওরূপ করে এবং তাহার। মুক্তিকা খনন করিয়া যে পয়োনাল। প্রস্তুত করে তাহার মধ্যে ঐ মলের জংশ অধিক পরিমাণে নীত হয় । এই সকল কীটে মল নষ্ট করার পরে এবং মলত্যাগের তুই দিবস পরে তথাকার মৃত্তিক পরীক্ষা করিলে বহু সংখ্যক Nematodo অর্থাৎ স্বত্রবৎ গোলাকার কীটtণু দেখিতে পাওয়া যাইবে । মলত্যাগের তিন কি চারি দিবস পরে কখন বা দশ দিবস পরে সে স্থানে মলেম কোন চিহ্ন থাকিৰে না কিন্তু অণুবীক্ষণ দ্বারা তথাকার মৃত্তিক পরীক্ষা করিলে ভূরি ভূরি কীটাণু দেখিতে পাওয়া যাইবে । শীতকালে যে সকল কীট মৃত্তিকার উপরন্তর হইতে তন্মধ্যে হুড়শার