বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষ্ট, ১৮৯১ ] স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান।

  • (న .طق

f রক্তের পরিমাণের হ্রাস হয় । ফলতঃ এস্থলে স্থামিক শৈরিক রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় । এখন বুঝ। যাইবে যে, যদি একটি শিরার পরিবর্তে কোন পেশীতে হস্তচালনা দ্বার। পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে অভিঘাত করা যায়, তাহা হইলে কি ক্রিয়। সাধিত হইবে । আমরা জানি যে, অঙ্গের শিরা সকলের সঙ্গে সঙ্গে লিম্ফাটিক নাড়ী আছে ; মর্দনের দ্বারা শিরা ও রসনলী সকল শূন্যগর্ভ হয়, সুতরাং সেই অঙ্গের প্রাস্তদিকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় । সাধারণতঃ চৰ্ম্মেণপরি ঘর্ষণ প্রয়োগ করিলে প্রথমত: ক্ষণেকের নিমিত্ত উপরস্থ রক্তবহ নাড়ী সকল কুঞ্চিত হয় ও পরে উহার প্রসারিত হয় ; এ কারণ ঘর্ষণ স্থগিত করিবার পরও কিছুক্ষণ চৰ্ম্ম আরক্তিম থাকে । ঘর্ষণ দ্বারা চৰ্ম্মের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় । হস্তে ও পদে দেহ অভিমুখে উদ্ধদিকে ঘর্ষণ প্রয়োগ করিলে লিম্ফ সঞ্চালন বৰ্দ্ধিত হইয়া পেশী সকল হইতে ত্যাজ্য পদার্থ দূরীকৃত হয়। ক্লান্তি দুরকরণার্থ চৰ্ম্মের ঘর্ষণ ও পেশী সকলে মর্দন বিশেষ উপ কারক। O স্থানের বর্ণ উন্নত হয় । অঙ্গমৰ্দ্দন আপাতত: শু{ঞ্চত্তে , অতি সহজ বলিয়া মনে হয়,কিন্তু কাৰ্য্যকারী রূপে, সুশৃঙ্খলে চিকিৎসার্থ প্রয়োগ করিতে হইলে পেশী, শিরা, ধমনী, রসনাড়ী প্রভৃতির ব্যবচ্ছেদ জ্ঞান আবশ্যক এবং অঙ্গমর্দ নের নিয়ম ও অভ্যাস শিক্ষা আবশ্যক ; নতুবা অবিধি, অযথা ও যথেচ্ছা অঙ্গমৰ্দ্দনে কোন ফল আশা করা যায় না । অঙ্গমর্দনকারীর লঘুহস্ত এবং উদেপ্তশালী হওয়৷ প্রয়োজন । কেন, কি প্রকারে হস্ত চালন। করিতে হইবে, তাহ সম্যক না বুঝিলে এ চিকিৎসায় উপকার অসম্ভব । অঙ্গ মৰ্দ্দনকারী গাত্র মর্দন করিতে কতক পরিমাণে বল প্রয়োগ করে, যে স্থানে এই বল প্রয়োজিত হয়, তথায় উহা উত্তাপে পরিণত হয় ও স্থানিক উত্তাপ বৃদ্ধি পায়,রক্ত প্রণালীর মধ্যে অধিক পরিমাণে ও অধিকতর বেগে রক্ত প্রবাহিত হয় ; এই সকল স্থানিক পরিবর্তন নিবন্ধন উহা উষ্ণ হয় ও উহার আয়তন বৃদ্ধি পায় । সেই স্থানের বিধানেপাদানেল পুষ্টি বৃদ্ধি পায়, এ হেতু সেই ( ক্রমশ: ) প্রদাই । ঐতিহাসিক বিবরণ । লেখক—শ্ৰীযুক্ত ডাক্তার নীলরত্ন সরকার এম, এ ; এম, ডি। কোন স্থানে আঘাত লাগিলে যে কিছুক্ষণ পরে ঐ স্থান লালবর্ণ হয়, ফুলিয় উঠে, উত্তপ্ত হয় এবং ঐ স্থানে যন্ত্রণ বোধ হয়, তাহা অতি পূৰ্ব্বকালের চিকিৎসকগণও বুঝিতেন। খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষ ভাগে | ‘গেলেন এই রূপ অবস্থায় এই চারিট লক্ষণ বিশেষ রূপে বর্ণনা করেন এবং ঐ স্থান উত্তপ্ত হয় বলিয়া এই অবস্থাকে ‘প্রদাহ নাম দেন । সেই পৰ্য্যস্ত এই নাম পুরুষাঙ্কক্রমে চলিয়া আদিতেছে এবং চিরদিনই