বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভিষকৃ-দৰ্পণ । سیا 'ജ്ജ്ജ indm উঠিলে’ স্বতঃই সকলে তৎক্ষণাং পা দলিয়া থাকে ও উহার আশু ফল লাভ করে । প্রত্যহ দেখা যায় যে, ঘোটককে পরিশ্রমের ংশ উত্তমরূপে “দলাই মলাই” না করিলে উহার রুগ্ন ও অকৰ্ম্মণ্য হইয় পড়ে। অঙ্গ মৰ্দ্দন ও অঙ্গচালনা প্রথার ইতিহাস প্রতি লক্ষ্য করিলে দেখা যায় যে, স্বাস্থ্য রক্ষার্থ ও বিবিধ রোগের চিকিৎসার্থ এই প্রণালী কি সভ্য, কি অসভ্য সকল জাতি তেই প্রচলিত। শরীর রক্ষা নিমিত্ত আয়ুৰ্ব্বেদে ইহার আদেশ আছে,এবং এখন পৰ্য্যন্ত পদ্ধতি দেখিতে পাওয়া যায় যে, পশ্চিমাঞ্চলবাসীরা যে কোন পীড়ায়, ও স্বাভাবিক অবস্থায় ও ক্ষৌরকার্য্যের পর, অঙ্গ উত্তমরূপে দলাইয়া লয়। পাশ্চাত্য দেশে প্রায় সহস্র বর্ষ পূৰ্ব্ব খ্ৰীঃ অব্দে হোমারের গ্রন্থে পাওয়া যায় যে, সুন্দরীগণ রণক্লান্ত বীরগণের অঙ্গ মৰ্দ্দন করিয়া তাহদের ক্লাস্তি দূর করিত। গ্রীকৃ ও রোমকগণ মধ্যে, কি ধনী, কি দরিদ্র, কি পণ্ডিত, কি মূখ, কি রোগী, কি নীরোগী, সকলেই ইহার অমুরাগী ছিল, এবং বিবিধ উদ্দেশ্যে ইহা ব্যবহৃত হইত। রোগাস্তদেীৰ্ব্বল্য দূরীকরণ অভিপ্রায়ে, কখন ব। বিলাসোপভোগ জন্য, কোন কোন স্থলে দেহের পুষ্টি ও বলবৃদ্ধির নিমিত্ত, ইহা প্রচলিত ছিল । এ দেশে আজিও মন্ত্রগণ মধ্যে এ প্রথা নিত্য দেখা যায়। কুস্তির পূৰ্ব্বে দেহ উত্তেজনার্থ, এবং কুস্তির পর আহত অঁদের বেদনাদি নিবারণ ও শ্রাস্তি তিরোহিত করণ উদ্দেশ্যে অঙ্গমৰ্দ্দনপ্রথা কাহারও অবিদিত নাই। ভারতবর্ষের স্তায় গ্রীস ও রোম রাজ্যেও চিকিৎসকগণ বিবিধ রোগের [ জুলাই, ১৮৯১ முக চিকিৎসার্থ এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করিতেন। এ দেশে বায়ুঘটিত বা স্নায়বীয় রোগে ইহার ব্যবস্থ পাওয়া যায়। শ্লেষ্মাঘটিত বা প্রাদাহিক রোগে এই প্রক্রিয়া নিষিদ্ধ। অনু্যন এক শত বর্ষ পূর্ব খৃঃ অব্দে সুপ্রসিদ্ধ গ্রীকৃ চিকিৎসক এস্তুে পিয়াডেস্ অধিকাংশ রোগের চিকিৎসায় অঙ্গমৰ্দ্দন ব্যবহার করিয়া বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছিলেন । র্তাহার মতে রোগরোগ্যার্থ ঔষধ সেবন কদাচ প্রয়োজনীয় । পূৰ্ব্বতন পণ্ডিতবর সেলসাস বলিয়াছেন যে, রুগ্ন ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পাদনার্থ ঘর্ষণ মহোপকারক ; মস্তকের দীর্ঘকালস্থায়ী বেদন ইহা দ্বারা উপশমিত হয় । অবসস্নাঙ্গে বলাধানার্থ অঙ্গ-মৰ্দ্দন তাহার অভিমত। টাওজির চঙ্গ ফু নগ্নস্থ চৈন আদিম গ্রন্থে হস্তচtলন। দ্বার। দৈহিক চিকিৎসার উল্লেখ পাওয়া যায় । বহু কাল অবধি যে, এই প্রণালী জাপানে প্রচলিত, তাহাদিগের পুরাতন গ্রন্থ হইতে তাহার বহুল প্রমাণ দৃষ্ট হয়। আজিও জাপানে দরিদ্র ব্যক্তিগণ অঙ্গ-মৰ্দ্দন-করণ ব্যবসায় দ্বার। জীবিকা নিৰ্ব্বাহ উদ্দেশ্যে রাজপথে ভেরী বা ঘণ্টা বাজাইয়া “অঙ্গ-মৰ্দ্দনকারী যাই তেছে’ তাহ লোককে অবগত করায় । প্রশান্ত মহাসাগরের টঙ্গা আদি কতকগুলি দ্বীপে লোক শ্রাস্ত হইলে ভূমে শুইয়া “টুজিটুজি” ও “মিলি” বা “ফোটা” অবলম্বন করে। ধীরে অবিরাম সৰ্ব্বাঙ্গে মুষ্টি-অৰিত(কিলমার)-কে "টুজি টুজি", করতুল দ্বারা ঘর্ষণকে “মিলি" এবং অক্ষুলিগণ দ্বার নিপী ডুন ও নিপীড়নকে “ফোটা’ বলে । এত--