পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেপ্টেম্বর, ১৮৯১] চিকিৎসা বিষয়ে স্ত্রীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা । ৮৩ উপলব্ধি হয় যে, অংশমত বিভক্ত হইলে কাৰ্য্য নিয়মিত রূপে সমাপনের অনেক সুবিধা জন্মে । সকল কার্য্যের ন্যায় চিকিৎসা কার্য্যও | শ্রেণীমত বিভক্ত হইলে সুচারুরূপে তৎ- | কার্য্য সম্পাদনে অনেক সৌকাৰ্য্য সাধন হইতে পারে। এই জন্যই পাশ্চাত্য চিকিৎসা-শাস্ত্রের নেতাগণ ঐ কাৰ্য্যকে কয়েক ভাগে বিভক্ত । করিয়া ভিন্ন ভিন্ন ভাগের কার্য্য-সম্পাদনার্থ যেন ভিন্ন ভিন্ন লোক নিযুক্ত করিয়াছেন । যেমন ঔষধার্থে প্রয়োজনীয় বস্তুসকল এক দল লোক সংগ্ৰহ করিতেছেন, অমনি ঔষধ প্রস্তুত করিতে অন্য এক দল প্রবৃত্ত ; ঔষধ ব্যবস্থা দ্বারা নিৰ্ব্বাচন করিতে এক দল, এবং ঔযধ সেবন করাইতে ভিন্ন এক দল নিযুক্ত আছেন ; ইহাতে চিকিৎসা-কার্য্যের অনেক সুবিধা হইয়াছে, বলিতে হইবে । এইরূপ এদেশে যদি চিকিৎসাকার্য্য-সম্পাদনার্থ স্ত্রীপুরুষ দুই দল ডাক্তার থাকেন, স্ত্রীলোকের চিকিৎসার জন্য স্ত্রী-ডাক্তারগণ নিযুক্ত হয়েন, তাঙ্গু হইলে আমাদের দেশে চিকিৎসা-কার্য্যে অনেক সুবিধা হয়, এবং স্ত্রী গণও একটা সৰ্ব্বজন-fছতকরী ও তৎসহ স্ত্রীজাতিসম্ভব সহজ-সাধ্য অর্থকরী বিদ্যায় পারদর্শী श्टप्लन ! কিন্তু ভারতবর্ষে এই তাভাব আবহমান কাল চলিয়া আসিতেছে । অতি অল্প । निन झईठा কঙ্কণ-হৃদয়া, মহামান্য শ্ৰীশ্ৰীমতী ভারতেশ্বরী ও সহানুভূতি-পরায়ণ শ্ৰীমতী লেডী ডফ রিপেয় প্রযত্নে এই চিরানুভূত অভাবমোচনের ছত্রপাত হইয়াছে। দশ বৎসর পূৰ্ব্বে মেডিক্যাল কলেজে, কি মেডিক্যাল । স্কুলে একটা ছাত্রীকেও অধ্যয়নার্থে প্রবেশ कबिरल ८मथ गाँहेड ना ? किड़ अधूम অনেক মেডিক্যাল স্কুলে ও কলেজে ছাত্রীগণকে অধ্যয়নে রত ও শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে দেখা যাইতেছে, এবং দিন দিন এই রূপে ছাত্রীর সংখ্যাও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইতেছে। গত ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দের বাৎসরিক রিপোর্ট পীঠে অবগত হওয়া যায় যে, ঐ বৎসর কলিকাতা মেডিক্যাল কলেজে ২৭ জন, ক্যাম্বেল মেডিক্যাল স্কুলে ২২ জন, বোম্বাইয়ের গ্র্যাণ্ট মেডিক্যাল কলেজে ৩৩ জন, আগ্র। মেডিক্যাল স্কুলে ৪৬ জন, মান্দ্রীজ মেডিক্যাল কলেজে ৪৪ জন ও লাহোর মেডিক্যাল কলেজে ২০ জন, সৰ্ব্বশুদ্ধ ১৯২ জন ছাত্রী চিকিৎসা-বিদ্যা অধ্যয়ন করিতে ছিলেন । ইহা দ্বারা আমাদের দেশের যে বিশেষ হিতসাধন হইতেছে,তাহ কোন গৃহস্থ ব্যক্তি স্বীকার না করিবেন ? ছাত্রীগণ এরূপ অধ্যবসায়ের সহিত অধ্যয়ন করিতেছেন যে, তাহাদের মধ্যে কেহ পরীক্ষায় বিশেষ দক্ষত। প্রদর্শন করিয়া, কেহ ৰ৷ অতিরিক্ত সুখ্যাতি-পত্র, কেহ ব৷ সুবর্ণ বা রৌপ্য-পদক, কেহ বা বৃত্তি লাভ করিয়া স্ব স্ব একাগ্রতার পরিচয় প্রদান করিতেছেন। আবার র্যাহারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছেন, তাহার কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়া কিম্ব স্বাধীনভাবে চিকিৎসা-ক্ষেত্রে বিচরণ করিয়া দক্ষতা প্রদর্শনপূর্বক জনসাধারণের সন্তোষ সাধন করিতেছেন । পরিশেষে আমাদের বক্তব্য এই যে, যখন ইহা স্পষ্টই দেখা যাইতেছে যে, স্ত্রীগণের চিকিৎসা-বিদ্য অধ্যয়নে সৰ্ব্বজনীন মঙ্গল