বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেপ্টেম্বর, ১৮৯১ ] চিকিৎসা বিষয়ে স্ত্রীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ৮৫ আমরা আহলাদসহকারে প্রকাশ করি তেছি, পাঞ্জাব মেডিকেল কলেজের পরীক্ষায় তথাকার ছাত্র, ও ছাত্রীগণের মধ্যে মিস্ এ, কনর সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক নম্বর প্রাপ্ত হইয়াছেন এবং বার্টন-মেমোরিয়েল মেডল পাইয়াছেন । কলিকাতা মেডিকেল কলেজে মিস, এল, সাইক্স নিম্ন লিখিত পুরস্কারগুলি প্রাপ্ত হইয়াছেন :– ১, গবর্ণর জেনেরলের রৌপ্য মেডেল ( পদক ) । ২, লেডী রিভাস টমসনের পারিতোষিক । ৩, ধাত্রী বিদ্যায় প্রাকটিস অফ | সংক্রিকেট মেডিসিনে চক্ষু চিকিৎসায় 曝 ৪, সার্জারীর জন্য কলেজের স্বর্ণ মেডেল । ৫, মিস, ফোরেন্স ডিসেণ্টও একটা সুবর্ণ মেডেল ( পদক ) এবং তিন খান সার্টিফিকেট পাইয়াছেন । উপযুক্তি ফল দর্শনে ইহা স্পষ্টই উপলব্ধি হয়, এবং ইহা সম্পূর্ণ রূপে আশা করা যায় যে, যদি আমাদের দেশের রমণীদিগকে চিকিৎসা-বিদ্য পিকা দেওয়া যায়, তাহা হইলে তাহার। বিশেষ দক্ষতার সহিত চিকিৎসা-কার্য্য সম্পাদনে সক্ষম হইবেন। উপরোক্ত মহিলাগণ যে এতদূর কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন, ইহা কম সন্তোষের এবং কম আশাপ্রদ কথা নহে। অতএব স্ত্রীলোকদিগকে উক্ত বিদ্যা শিক্ষা দিলে उशिरंड স্বফল ফলিবার কোন সন্দেহই नाई । अॉब्ब पनि अर्थ३ सौवहनङ्ग •भूल ..!. উদেশ্য হয়, তবে স্ত্রী-পুরুষ—সকলেরই শ্রমশীল হওয়া কৰ্ত্তব্য, আলস্যে কাৰ্য্য হানি ভিন্ন কখনও উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় না । ইউরোপপ্রভৃতি দেশ সমুহ যে এত উন্নত, তাহার প্রধান কারণ এই যে, তথাকার স্ত্রীপুরুষ উভয় জাতিই শ্রমক্ষম । আমাদের দেশের অবনতির মূল কারণ আলস্য। অলিস্যে পীড়াতিশয্য হয় । এ দেশের ধনাঢ্য স্ত্রীপুরুষেরা আলসেই সময়াতিবাহিত করিতে চিরাভ্যস্ত, কাজেই তাছাদের মধ্যে পীড়ার সংখ্যা অত্যন্ত অধিক । আলস্য ও তজনিত পীড়া র্তাহাদিগকে এত নিজীব করিয়া ফেলে যে, তাহাদের পুত্রপৌত্রাদিরাও রুগ্ন ও দুৰ্ব্বল হইয়া চিরকাল পীড়া ভোগ করে ও নিতান্ত অকৰ্ম্মণ্য হইয় পড়ে। আমাদের দেশের সাবেক ফ্যাশানের ধনাঢ্য ভদ্রস্ত্রীমাত্রই অলস, কেহ কেহ একেবারে নড়িতে চাহেন না, এতরিবঞ্চন সততই রোগাক্রান্ত, মানব জীবনে মুখ নাই, অরুগ্ন দীর্ঘজীবী সস্তান-প্রসবে অনেক বাধা, কাজে কাজেই জীবনের সব দিকটাই তিক্ত। অামা দের দেশে ভদ্র-স্ত্রী ও কুন্যাদিগকে চিকিৎসাশাস্ত্রে শিক্ষ। দেওয়৷ এই বিষম জীবন-তিক্তকারী অবস্থার একটা মঙ্গেষধ । যদি নিজেদের উন্নতি করিতে চাও, যদি দেশের উন্নতি করিতে চাও, তবে নিজের স্ত্রী-পুরুষ নিৰ্ব্বিশেষে বিবিধ গুণজ্ঞানে বিভূষিত হইয়। পরিশ্রমী হও ; এবং যখন স্ত্রীলোকে পুরুষের ন্যায় কঠিন পরিশ্রমে সমর্থ। নহেন, তখন র্তাহাদিগকে স্বল্প পরিশ্রম অথচ অর্থকরী চিকিৎসা-বিদ্যা শিক্ষা দিয়া নিজেদের ও দেশের মঙ্গল সাধন করিয়া অক্ষয় যশ লাভ কর ।