শুধু তাই নয়, বরং দেখিতে কুৎসিতই। কোন সুন্দরী স্ত্রীলোকের পক্ষে আমায় পছন্দ করা সম্ভব নয়। সেই জন্য এতদিন সে চেষ্টা করিওনি। কে জানে যাহাকে বিয়ে কর্ব, সে আমায় পচ্ছন্দ করিবে কি না; কিন্তু এখন যেন এ নিঃসঙ্গ জীবন ক্রমেই অসহ হয়ে উঠেছে।”
সুমিত্রা ঈষৎ ভীতভাবে মুখ নত করিয়াই ধীরে ধীরে বলিল, “কিন্তু সে ব্যবধান যে ভোলবার নয়! আমি আপনার এক জনগরীব প্রজার মেয়ে, লোকে আপনাকে কি বল্বে?”
হৃদয়নাথ ঈষৎ হাসিয়া প্রসন্নমুখে বলিয়া উঠিলেন, “শুধু এই যদি তোমার আপত্তির কারণ হয়, তা’হলে তুমি সে ভয় করো না, লোকে হৃদয়নাথকে চেনে। এখন আমায় বল সুমিত্রা, আমি তোমায় আমার ভাবী পত্নী ব’লে আশা কর্তে পারি কি না? ‘না’ বলো না সুমিত্রা, আমার আশা ভঙ্গ করো না।”
সুমিত্রা কম্পিত হস্তে সাজিটা তুলিয়া লইয়া এক বার চকিতমাত্র প্রস্তাবকারীর মুখের পানে চাহিয়া অক্ষুটস্বরে বলিল, “আচ্ছা।”