এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
লঘুক্রিয়া
১
গ্রীষ্মের ছুটীর পর যেদিন স্কুল কলেজ খুলিবে, তাহার দুইদিন পূর্ব্বে ব্রেকফাষ্টের সময়, অ্যালিস তাহার খুল্ল পিতামহের বাহুর উপর হেলিয়া পড়িয়া আদর মাখা স্বরে তাঁহাকে অনুরোধ করিল “দাদা! ফ্যানীর ছুটী শেষ হ’লো, সে চ’লে যাবে, তাকে যেতে বারণ কর না দাদা!” ফ্যানী তাহার সঙ্গীতধ্যাপকের কন্যা, কলিকাতায় কোন বালিকাবিদ্যালয়ের শিল্প-শিক্ষয়িত্রী, গ্রীষ্মাবকাশে পিতার নিকট মৃজাপুরে আসিয়াছিল, স্কুল খুলিবার সময় হওয়ায় ফিরিয়া যাইবার উদ্যোগ করিতেছে।
অ্যালিস পিতামহের বড় আদুরে। সে যাহা আবদার ধরিত, তিনি নির্ব্বিচারে তাহাই পালন করিতেন। ছোট বেলা হইতে অত্যধিক আদর দিয়া তিনিই
১৩৩