য়াছে। তবে সে কেন তাহার এই লোভনীয় শান্তিটুকুতে হাত দিতে আসিল? ফ্যানী প্রতিদিন চার্লসের আদেশে অনেক গান গাহিত। অ্যালিস দেথিত সে অবসর পাইলেই নূতন নূতন গান ও স্বরলিপি অভ্যাস করিতেছে। সেও উৎসাহ দিয়া বলিত “হ্যাঁ ভাই! ভাল ক’রে শেখ্, চার্লস যেন না নিন্দা কর্ব্বার ছুতো পায়।” বৃদ্ধ হতাশভাবে বসিয়া গান শুনিতেন, কিন্তু তাঁহার আর তেমন তৃপ্তি হইতনা। এক একবার বাধা দিয়া কোন বই বা সংবাদপত্র পড়িতে বলিলে চালর্স সাগ্রহে বলিয়া উঠিত “আর একটা গান শোনা যাক।” একটা হইলে আবার একটার জন্য সঙ্গে সঙ্গেই অনুরোধ হইত, হেনরী অনিচ্ছাসত্ত্বেও আর আপত্তি করিতে পারিতেন না।
একদিন বেলা তিনটার সময় কিছু বলিবার উদ্দেশে চার্লস ধীরে ধীরে পিতামহের বসিবার ঘরে প্রবেশ করিল। রুদ্ধ জানালার পাশে একখানা ইজি চেয়ারে শয়ন করিয়া বৃদ্ধ সওদাগর তখন পাইপে ধূমপান করিতেছিলেন। নিকটেই একখানা বাণিজ্য বিষয়ক পুস্তক এবং তাঁহার চশমা পড়িয়া আছে। বোধ হয় পূর্ব্বে