পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাহাদুর কালবিলম্ব না করে রূপমতীর প্রাসাদে গিয়ে দেখেন, রূপমতী হীরকচূর্ণ সেবন ক’রে প্রাণত্যাগ করেছেন। তার দেহ শয্যার উপর পড়ে রয়েছ। রূপমতার কথা এইখানেই শেষ! এইবার আমাদের ভ্রমণ-বৃত্তান্ত বলি। ধার থেকে মাধু কুড়ি মাইল পথ। এই কুড়ি মাইল পথ যেতে আমাদের দুই ঘণ্টা সময় লেগেছিল। আর এই দুই ঘণ্টাকাল সত্যচরণ বাৰু মাণ্ডু ও ধারের ইতিহাস অবিশ্রান্ত বলতে বলতে গিয়েছিলেন । আমরা অনেকেই শুনেছিলাম, কিন্তু আমি ত বলতে পারি, তার বর্ণিত এই ইতিহাসের সামান্য দুই চারিটাি কথা মাত্র মনে আছে । মাণ্ডুতে যখন পৌছিলাম, তখন বেলা দশটা ৷ গাড়ী থেকে নেমে সেই যে ধ্বংস-স্তুপের মধ্যে প্রবেশ করলাম, তার আর অন্ত পেলাম না ; শুধু প্রাসাদ আর মসজিদের ছড়াছড়ি ; আর সে সবের কতক বা একেবারে ভূমিসাৎ হয়েছে, কতকগুলো বা অতি কষ্টে দাড়িয়ে আছে ; গুটিকয়েকমাত্র প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগের চেষ্টায় মুৎসমাধি থেকে মাথা তুলেছেন । ক্রোশের পর ক্রোশব্যাপী স্থান জুড়ে সুধু প্রাসাদ আর মসজিদ, মন্দির আর জলাশয় ; আর দূরবিস্তৃত নিবিড় জঙ্গল, তার ভিতরে সাপ বাঘ ও হিংস্ৰজন্তুর অবাধ রাজত্ব ! এখনও মাণ্ডুতে যা দেখতে পাওয়া যায় এবং যেগুলির মধ্যে প্রবেশ করবার সাহস হয়, তার মধ্যে গুটিকয়েকের নাম বলছি ; যথা— হিন্দোলামহল, জাহাজমহল ( জলাশয়ের মধ্যে নিৰ্ম্মিত ব’লে এই নাম হয়েছে), হাবেলীমহল, ধাই৷মহল, চম্পা বাউড়ি, জামি মসজিদ, মাদ্রাসা, মহম্মদ খিলিজির সমাধি, হোসেন শাহের সমাধি, বাজ বাহাদুর ও রূপমতীর প্রাসাদ, আসরফি মহল। এইগুলিই প্ৰধান এবং গবৰ্ণমেণ্টের