পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dee ਕਣਵ ਟ ভাগ্য যদি খুব সুপ্ৰসন্ন হয়, তা হ’লে হয় তা আংটিটী পাওয়া গেলেও যেতে পারে।” সারাটা পথ মুসলমান যুবকটির মুখ থেকে সুরার উগ্র সৌরভ পাওয়া যাচ্ছিল ব’লে আমি তার এ পরামর্শটাকে, মোটেই শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্ৰহণ ক’রতে পারলুম না। মাতালের প্রলাপ-উক্তি হিসাবে অগ্রাহ্য করলুম। কিন্তু, বৃদ্ধ উকীলটি মহা উৎসাহিত হ’য়ে বললেন “ও ঠিক বলেছে। আপনি অতি অবশ্য অবশ্য খাণ্ডোয়ায় পৌছে পুলিশকে আপনার ক্ষতির কথা জানিয়ে রাখবেন। যদি ওই আংটি উদ্ধার হওয়া সম্ভব হয়, তবে ওদের দ্বারাই হ’তে পারে।” জলধরদাও তাদের এ পরামর্শে সম্পূর্ণ অনুমোদন করলেন দেখে আমি টাইম টেবেল খুলে আমার পকেট-বইয়ে নোট করে রাখলুম। যে “সীর রাণ” থেকে “অজান্তী” ষ্টেশনের মধ্যে ছটা নাগাদ “81 Up” প্যাসেঞ্জারের দক্ষিণ দিকের জানালা গলে বি, বি, সি, আই, রেল লাইনের ধারে আমার । আংটিটি পড়ে গেছে। আংটি-হারানোর ব্যাপারে সহযাত্রীদের সঙ্গে আমাদের আলাপ খুব | জমে উঠলো। আমরা অজন্তা ও ইলোরা দেখতে যাবাে। শুনে মুসলমান । ধ্ৰুবকটি উপযাচক হ’য়ে আমাদের পথের সন্ধান সমস্ত বলে দিলেন এবং ঐ জালগাও ষ্টেশনের ধারেই ওখানকার লাইব্রেরীতে র্তার এক বন্ধু থাকেন। র্তার মোটর ও পেট্রলের কারবার আছে । তিনি আমাদের সস্তায় মোটর ঠিক করে দেবেন ব’লে মুসলমান যুবকটি তার নামে একখানি চিঠি লিখে । দিলেন। আমাদের কাছে । সন্ধ্যে সাড়ে ছটা নাগাদ গাড়ী খাণ্ডোয়া ষ্টেসনে এসে পৌঁছিল। । খাণ্ডোয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্ৰীযুক্ত কুমারেন্দ্র চট্টোপাধ্যার ষ্টেশনে । উপস্থিত ছিলেন। ইন্দোরে এর সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হ’য়েছিল। ইনি