পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Neses `9628 উভয় পার্শ্বস্থ বাজু, অতিক্রম করে দু’ধারেই খানিকটা ক’রে বেড়ে থাকা । তৃতীয়-প্ৰবেশ-দ্বারের দুই দিকে গঙ্গা যমুনা প্ৰতিমূৰ্ত্তি খোদিত থাকা । চতুর্থ-মূল গৃহটির চারিদিক বেষ্টন করা স্তম্ভ শ্রেণী ও তদুপরি মূল গৃহের ছাদের অপেক্ষ নিম্নতর ছাদ সন্নিবেশিত ! পঞ্চম-বিশাল চতুষ্কোণ শীর্ষযুক্ত স্তম্ভ ও তদুপরি বৃক্ষতলে অৰ্দ্ধাসীন সিংহদ্বয়ের প্রতিমূৰ্ত্তি খোদিত । যষ্ঠ—স্তম্ভ-শিরে গুল বসানো অলঙ্কারের অদ্ভুত পরিকল্পনা ; ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাশ্ব-শৃঙ্গ সংযুক্ত অসংখ্য মৌচাকের মতো ! প্রাক-গুপ্তযুগের ভাস্কৰ্য্য ও স্থাপত্য-কলার প্রধান লক্ষণই হচ্ছে, তার বিরাটত্ব। তা ছাড়া, তার সোপান-শ্রেণী, স্তম্ভ-শ্রেণী, ঘরের চৌকাঠ এবং উচ্চ ভিত্তিও লক্ষ্য করবার বিষয়। পাহাড় কেটে বা পাথর কঁদে মূৰ্ত্তি ও গৃহ-নিৰ্ম্মাণের চেষ্টা, নিতুল স্পষ্ট রেখাঙ্কন, সমতল-ক্ষেত্রে সুসম্পূর্ণ কাজ, সাধাসিধে ভঙ্গা, সর্বপ্রকার অলঙ্কারের বাহুল্য-বৰ্জিত, ফুলকাটা লতা-পাতার কাজ-শূন্য এবং বেশীরকম খুঁটি-নাটি দেখাবার চেষ্টাহীনতা । ভারতীয় স্থাপত্য-কলার একটা নিজস্ব রূপ আছে যা ভারতেরই মৌলিক সম্পত্তি ; কোনও দেশের কাছে তা ধার-করা নয়। গুপ্ত যুগ ও প্ৰাকগুপ্ত-যুগের স্থাপত্য-শিল্পের যে যে অভিজ্ঞানের কথা আগে বললুম, অজন্তার স্থাপত্য-কলায় এতদুভয় যুগেরই নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। শত শত বৎসর ধ’রে ভারতীয় স্থাপত্য-কলার যে ক্রমোন্নতি ও বিবৰ্ত্তন সাধিত হ’য়েছে, অজন্তার প্রত্যেক গুহাটি যেন তার ইতিহাস বক্ষে নিয়ে সযত্নে রক্ষী করছে । অজন্তার চৈত্য ও বিহার-গুহারা নিৰ্ম্মাণ-পদ্ধতি ও গঠন-প্ৰণালী এবং তার কারুকাৰ্য ভারতীয় স্থাপত্য-শিল্পের গৌরব-কেতন-স্বরূপ। ৯নং চৈত্য ܒ