পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ヘク ইন্দোলের ইতিহাস । যশোবস্তের সহিত গোপনে যড়যন্ত্র করে রাণী অহল্যা বাঈকে পত্র লিখুল ৷ যে, তার কিছু টাকার দরকার ; ইন্দোর রাজকোষ থেকে তাকে টাকা দেওয়া হোক। অহল্যা এই ষড়যন্ত্রের কথা পূর্বেই জানতে পেরেছিলেন। তিনি উত্তর দিলেন, ইন্দোরের রাজকোষের অর্থ তাহার নহে,ইহা ইন্দোরের প্রজাদের গচ্ছিত ধন । তিনি এই ধন দীন-দুঃখীদিগের মধ্যে বিতরণ করবার অধিকার পেয়েছেন। রাঘো বা দাদা যদি ইচ্ছা করেন, তা হলে ঘেদিন কাঙ্গালী-বিদায় হবে, সেদিন উপস্থিত হোলে যৎকিঞ্চিৎ ভিক্ষা পেতে পারেন । এই কথা শুনে রাঘো বা দাদা একেবারে ক্ষেপে উঠলেন। কি, এত বড় অপমান! তখন তিনি অহল্যার দর্পচূৰ্ণ করবার জন্য সৈন্য সজ্জা করলেন এবং অহল্যাকে লিখে পাঠালেন যে, যুদ্ধ-ক্ষেত্রে তিনি এই অপমানের প্রতিশোধ নেবেন । বেশ কথা । তপস্বিনী অহল্যা তখন রাজেন্দ্ৰাণী হলেন । চারিদিকে সংবাদ পাঠিয়ে যুদ্ধের আয়োজন করলেন ; সকলকে সংবাদ দিলেন যে, এ যুদ্ধে তিনি সেনাপতির কাজ করবেন, নিজে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হবেন। তার এই ঘোষণা শুনে দলে দলে লোক মহা উৎসাহে ইন্দোরের পতাকাতলে সমবেত হতে লাগল ; চারিদিকে জয়ধ্বনি উঠতে লাগল “রাণী অহল্যা মাঈ কি জয় ।” যথাসময়ে রাজেন্দ্ৰাণী অহল্যা যুদ্ধ-সাজে সজ্জিত হয়ে বাণ-ভরা তৃণীর ও ধনু গ্ৰহণ করে হস্তিপৃষ্ঠে আরোহণ করে যুদ্ধার্থে অগ্রসর হলেন। সৈন্যগণ বিপুল জয়ধ্বনি করে এই মহিষমৰ্দিনী মূৰ্ত্তির সম্মুখে আঙুমি প্ৰণত হয়ে ইন্দোরের ভাগ্য-পরীক্ষার জন্য অগ্রসর হোলো । যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে অহল্যা রাঘো বা দাদাকে বলে পাঠালেন যে, সৈন্যসামন্ত পিছনে থাকুক, তিনি সর্বাগ্নে রাঘোেবা দাদার সঙ্গে একাকিনী ।