পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=पeवyड>न्टडत्र 70. সতী যা করে থাকে। আমি তাই করবো-সহমৃতা হবার সৌভাগ্য হতে আমাকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না। রাজা এই কথার যথার্থ পরীক্ষা করবার জন্য মনে মনে এক ফন্দী আটলেন। তিনি একদিন মৃগয়া করতে গিয়ে একটি বাঘ মেরে সেই বাঘের রক্তে নিজ পরিচ্ছদ সিক্ত করে এক পাশ্বরক্ষীকে দিয়ে রাণীর নিকট সংবাদ পাঠালেন, রাজাকে বাঘে খেয়ে ফেলেছে, তঁার এই পরিচ্ছদই তার নিদর্শন। রাণী এই কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে, সেই রাজপরিচ্ছদ-সহ সহমৃতা হলেন । এই দুঃসংবাদ রাজার নিকট পৌঁছিলে তিনি পাগলের মত হয়ে শ্মশানে ছুটে এসে দেখলেন, রাণীর দেহ ভৰ্ম্মে পরিণত হয়েছে। ভর্তুগরি নিজের মনকে কোনও প্রকারে শান্ত করতে না পেরে সেই শ্মশান আশ্রয় করেই দিবারাত্রি রাণীর জন্য কাদিতে থাকেন। এদিকে রাজগুরু গোরক্ষনাথ রাজার উপর দয়াপরবশ হয়ে পাগল সেজে এক মাটীর কলসী নিয়ে খেলতে খেলতে এসে, ভর্তুহুরির সম্মুখে দৈবাৎ যেন কলসী পড়ে ভেঙ্গে গেল, এমন ভাবে সেই কলসী ভেঙ্গে ফেলে, কঁদিতে লাগলেন। ভর্তুহরি মাটীর কলসীর জন্য কঁদিতে দেখে সেই পাগলকে বল্লেন-—“ওরে । বর্বর, একটি মাটীর হাড়ীর জন্য কেঁদে কি করবি, তার চেয়ে মাটীর | কলসী বাজারে হাজার হাজার আছে, কিনে নিয়ে তোর খেয়াল চরিতাৰ্থ । কর গিয়ে।” পাগল বল্লেন “তবে তুই রাণী রাণী করে কেঁদে মরছিল। কেন ? আমার কাছে তোর রাণীর মত হাজার রাণী আছে; তাই । দেখে তুই তোর খেয়াল মিটাে।” এই বলে পাগলবেশি গোরক্ষনাথ যোগবলে রাজা ভাতৃহরিকে হাজার রাণী দেখান। তখন রাজা সেই সাধুর পায়ে পড়ে দীক্ষা-প্রার্থ হন। মহাত্মা গোরক্ষনাথ তখন শোকাকুল রাজাকে যোগমার্গে যাবার মত ব্যবস্থা করে দিয়ে তাকে শিয়ুত্বের