পাতা:মনঃকল্পিত ইতিহাস - প্রথম ভাগ.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 'రి ) প্রভ, সকলই মুখের কারণ ভিন্ন কিছুই দুঃখ জনক নহে, জ্ঞানী সকল ঈশ্বর তত্ত্বাভাব ব্যতীত কোন সময় বা পদার্থকে দুঃখের কারণ বলিয়া জানেন না,তাহারা সমস্ত বস্তুকেই পরমেশ প্রদর্শনকারী দর্পণ স্বৰূপ জ্ঞান করিয়া থাকেন। কি সুক্ষম কি স্থল যখন যাহা দৃষ্টি করেন, দর্শন মাত্রেই উক্ত দ্রব্যোপরি সেই মহিমার্ণব মহেশের মহান মহিমা ব্যতীত তৎ শোভা বা তাহার গুণে বিমোহিত হন। না । বদান্যত কহিলেন, নাথ ! যদি এ সংসারে তত্ত্বজ্ঞানাভাব ভিন্ন আর দুঃখের কারণ কিছুই নাই, তবে তত্ত্বজ্ঞানাভাবী ব্যক্তিদিগের একই দুঃখ, নচেৎ সমস্ত বিষয়েতেই সুখোপলব্ধি হইতে পারে । পরমার্থ কহিলেন তুমি সরল স্বভাব, সেই হেতু মম বাক্য বিশিষ্টৰূপে প্রণিধান করিতে সমর্থ হও নাই, স্থির চিত্তে বিবেচনা কর, যেমন চক্ষু বিহীন ব্যক্তির পক্ষে ত্রিলোকালোক তিমিরাবৃত হয়, তদ্রুপ তত্ত্বজ্ঞানাভাবী জনের ত্ৰৈলোক্যের মুখ অন্তৰ্হিত হইয়া কেবল দুঃখেরই কারণ হইয়া উঠে, } এ জগতে তত্ত্বজ্ঞানই সার হইয়াছেন, ইহাতে আমার বক্তব্য এই, মত্তবারণৰপমনকে তত্ত্বজ্ঞান