বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&Sの প্রবন্ধ-পাঠ | বসিব । কিন্তু আপনার নিকট আমার ভিক্ষ এই, এবার যদি দুষ্টের হস্ত হইতে আমাকে রক্ষা করিতে পারেন, তাহা হইলে ইংরাজ দিগকে যোগ দেখাইবার জন্য আর আমাকে কখনও অনুরোধ করবেন না। . আমার মনের কথা বলিতেছি আমি উহাদিগকে দুই চক্ষে দেখিতে পারি না । তাহার কেবল আমার মৃত্যু কামনা করিতেছে। কৌশলে আমার প্রাণ নষ্ট করাই তাহাদিগের আস্তরিক ইচ্ছা ।” মহারাজ অস্বরন সাহেবের নিকট লোক পাঠাইলেন । কিন্তু তিনি কিছু বিরক্ত হইয়া গিয়াছেন ; এজন্য আর কৌতুক দেখিতে চাহিলেন না । সুতরাং হরিদাসেরও আর পরীক্ষা গ্রহণ করা হইল না । অনেকে এবারে হরিদাসকে সমাধির পূৰ্ব্বে কিছু বিষঃ ও দুই একটী আপত্তি তুলিতে দেখিয় তাহাকে ভণ্ড ও প্রতারক মনে করিয়া ছিলেন । কিন্তু বাস্তবিক তিনি ভণ্ড ও প্রতারক নহেন । যখন তিনি বারম্বার সমাধি-ধারণ করিয়া ছিলেন, তখন তিনি যে এবারে সমাধি-ধারণ করিতে কিঞ্চিৎ অনিচ্ছ ক হইলেন, তদ্বিষয়ে একটা নিগূঢ় কারণ ছিল ; এবং ধ্যানসিংহ ভিন্ন লাহোরে আর কোন ব্যক্তি সেই কারণট কি, তাহ জানিত না । তিনিই সেই দিনের সেই কাণ্ড ঘটাইবার মূল। ধ্যানসিংহ মনে মনে সিদ্ধাস্ত করিয়া রাখিয়া ছিলেন যে, ইংরাজের কাহারও সহিত প্রকৃত বন্ধুত্ব রাখিতে পারিবেন না । এজন্য ইংরাজের সন্ধির প্রস্তাব করিলে মন্ত্রী ধ্যানসিংহ মন্ত্রণ দিয়া - মহারাজের অসন্মতি জন্মাইয়া দিতেন। সা সুজা বহুকাল হইতে রাজ্যভ্রষ্ট