বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

J প্রবন্ধ-পাঠ ।( של ר অন্তরীপের নিকটে আসিলেই ঝড় ও তুফানে নিশ্চয়ই মরিয়া যাইবে” । তখন সম্রাট বলিলেন, “যদি ৬টী ঘোড়া সেখান হইতে পাঠাইয়া দেন, তাহ হইলে অন্ততঃ একটী ঘোড়াও এখানে বঁাচিয়া আসিতে পারে ; এবং যদি অত্যন্ত শীর্ণ হইয়া যায়, তাহা হইলে ভাল করিয়া খাওয়াইলেই ক্রমে ক্রমে পুষ্ট ও সবল হইয়া উঠিবে" । তখন রো সাহেব বাদসাহের আগ্ৰহ দেখিয় তাহাকে একটি ঘোড়া পাঠাইয়া দিবার প্রতিজ্ঞ। করিয়াছিলেন । জাহাঙ্গীর রোর প্রদত্ত মদ্য পান করিয়া এরূপ সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন যে, তিনি কহিলেন “আপনি যদি আমাকে এরূপ উৎকৃষ্ট মদ্য প্রস্তুত করিয়া দিতে পারেন, তাহ হইলে । আমি আপনাকে অনেক টাক পুরস্কার দিই" । প্রথমবারের উপহার সামগ্রী দেখিয়া জাহাঙ্গীর অভ্যস্তু প্রীত হইয়া ছিলেন । এজন্য রে সাহেব ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পনির ডিরেক্টর দিগকে আরও কতকগুলি উপহার সামগ্রী পাঠইতে বলেন । এবার কয়েক খানি উৎকৃষ্ট তৈলচিত্র ছিল । সম্রাট এক এক থানি করিয়া চিত্র গুলি দেখিতে লাগিলেন । প্রায় সমস্ত গুলি দেখিয়াই তিনি অত্যস্ত সস্তুষ্ট হইয়া ছিলেন ; কিন্তু এক খানি দেখিয়াই তিনি অগ্নি-মূৰ্ত্তি হইয়া উঠিলেন । হঠাৎ বাদশাহের এরূপ রেষপূর্ণ ও রক্তবর্ণ চক্ষু দেখিয়া রে সাহেব অত্যন্ত ভীত হইয় গেলেন ; এবং ইহার কারণ কি, তাহা তিনি কিছুই বুঝিতে পারলেন না । এই চিত্র খানিতে একটা সুন্দরী রমণী একজন বিকটাকার দৈত্যের নাসিক ধরিয়া টানিয়া লইয়া যাইতে ছিল । এই সুন্দরী রমণী গ্রীস দেশীয় সৌন্দর্ঘ্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী “ভিনাস” । তিনি ভিনাযের