বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরঙ্গ জীব ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । ৮৯ জন বিশ্বস্ত চর দ্বারা সম্রাটকে এই কথা বলিয়া পাঠাইলেন, “আমি যে কাজ করিয়াছি তাহা সস্তানের অযোগ্য । কিন্তু স্বতাহীতে জামার কোন দোষ নাই, দোষ কেবল দারার । যfছ। হউক, তিনি যে কঠিন পীড়া হইতে আরোগ্য লাভ করিয়াছেন, তাহাই মঙ্গল । এখন পুত্র বলিয়। এ দাসকে ক্ষমা করিলে আমার হৃদয় শীতল ও স্বস্থির হয় ।” চর আসিয়া সম্রাটকে আরঙ্গ জীবের নিবেদন জানাইল । বুদ্ধ বয়সে বুদ্ধি যায় ; যাহা হউক, তবু পিতা,—শাজেইন নিজ পুত্রকে ভাল করিয়াই চিনিতেন । অবসর পাইলেই মোগলসাম্রাজ্যের সম্রাট হইতে হইবে, বহুকাল হইতেই আরঙ্গজীবের ইচ্ছ। অন্যে না বুঝিতে পারে,শাজেহান সে দুরক্তি সন্ধি অনেক দিন হইতে বুঝিয়। রাথিয় ছিলেন । কিন্তু ভিতরের কথাটা কি, তাহা ঠিক জানিবার জন্য আপনার কন্য। জাহানারাকে খুনদিগের তাম্বুতে পাঠাইয়া দিলেন । জাহানার প্রথমে মুরাদের তাম্বুতে গেলেন । গত যুদ্ধে তাহার সর্বাঙ্গ অস্ত্রাঘাতে ক্ষত বিক্ষত হইয়াছিল। তিনি কাতর হইয়া শুইয়া ছিলেন । এমন সময়ে জাহানার উপস্থিত । মুরাদ জানিতেন, জাহানারার সম্পূর্ণ স্নেহ দারার প্রতি । সে কারণ তিনি তাহার কিছুই সমাদর করিলেন না ; বরং অনেক কটু কথা বলিয়। ভগিনীর অবমাননা করিলেন । চর গিয়া ভারঙ্গ জীবকে গোপনে এই সকল বৃত্তাক্ত জানাইল । কুচক্রই আরঙ্গজীবের সকল কাৰ্য্যের মূলমন্ত্র । জাহানার ক্রোধ করিয়া উঠিয়া যাইতেছেন শুনিয়া আরঙ্গ জীব দ্রুতবেগে সেই স্থানে আসিলেন । খলের হৃদয়ে বিষ, মুখে মধু; তিনি