পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবন্ধ-পাঠ । با • ۹۵ সেনাপতিকে জাহান করিয়া কছিলেন “হয় তোমরা এই ক্রোড়স্থ শিশুটীকে এখনই বিনাশ কর, নয় এই রাত্রির মধ্যেই ভূরস্থট অধিকার করিয়া আমার হস্তে প্রদান কয় । ইহ ন হইলে আমি কখনই জলগ্ৰহণ করিব না, প্রাণ পরিত্যাগ করিব।” সেনাপতিদ্বয় মহারাণীর আজ্ঞা শিরোধাৰ্য্য করিয়া দশ সহস্র সৈন্ত লইয়৷ সেই রাত্রিতেই "ভবানীপুরের গড়" ও “পেঁড়োর গড় বলপূর্বক অধিকার করিয়া লইল । পরদিন প্রাতঃকালে মহারাণী বিষ্ণুকুমারী স্বয়ং "পেঁড়োর গড়ে" প্রবেশ করিয়া দেখিলেন, নরেন্দ্রনারায়ণ বা র্তাহার পুত্র ও কৰ্ম্মসচিবাদির কেহই নাই ; কেবল কতকগুলি স্ত্রীলোক পথি-বিবর্জিত নিরাশ্রয়ার স্তায় অধীর হইয়া হাহাকার করিতেছেন । তিনি র্তাহাদিগকে অভয়-বাক্য প্রদানে সাক্তন করিয়া কহিলেন “তোমাদিগের ভয় নাই, স্থির হও ; কল্য একাদশী গিয়াছে আমি উপবাস করিয়া অাছি ; আমাকে শালগ্রামের চরণামৃত আনিয়া দেও; তবে আমি জলগ্ৰহণ করিতে পারি * । পূজক ব্রাহ্মণ তৎক্ষণাৎ "লক্ষীনারায়ণ শিলা" আনয়নপূর্বক স্নান করাইয়া চরণামৃত প্রদান করিলেন। মহারাণী অগ্ৰে তাহ গ্রহণ করিয়া পরে একাদশীর পারণ করিলেন । দেব-দেবীর প্রতি তাহার অচলা ভক্তি ছিল। শালগ্রাম ও অন্তান্ত দেব সেবার জন্য কিয়দংশ নিষ্কর ভূমি দান করিয়া ভবাণীপুরে কালী দেবীর ভোগের জন্ত প্রতিদিন এক টাকা নিৰ্দ্ধারিত করিয়া দিয়াছিলেন । কিন্তু যে সমস্ত অর্থ ও দ্রব্যদি লইয়া ছিলেন, তাহার কিছুই পরিত্যাগ করলেন না ; কেবল গড়, গৃহ, পুষ্করিণী ও উদ্যানাদি পুনঃ প্রদান করিয়া বর্ধমানে প্রত্যাবর্তন করেন ।