বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R২৩ প্রবন্ধ-পাঠ । উৎকৃষ্ট ধৰ্ম্মকে কলুষিত ও বিধ্বস্ত করিয়া থাকে। অনুচিত অর্থলালসা হৃদয়ে যেমন বদ্ধমূল হইয় উঠে, দয়া, দক্ষিণ্য, স্নেহ, মমতা প্রভৃতি সমস্ত সক,ণ উহাকে দেখিবা মাত্র দূরে পলায়ন করে । ধন দান করিয়ী দাতার মনে যেরূপ আত্ম-প্রসাদ জন্মে, ধন সঞ্চয় করিয়া কৃপণের মনে সেরূপ আত্ম-প্লানি উপস্থিত হয়। অর্থ দাতার পরিচারক, কিন্তু উহ! বুপণের অধীশ্বর। দাত জন্যের প্রতি সদয়, কৃপণ আপনার প্রতি নিষ্ঠুর। দাতার হৃদয় প্রশস্ত ও চিত্ত উন্নত, কৃপণের হৃদয় সঙ্কীর্ণ ও চিত্ত অবনত । আত্মোৎসর্জন দাতার চরম লক্ষ্য, আত্ম-বঞ্চন কুপণের পরিণাম ফল। দানে দাতার সুখ, শান্তি ও তৃপ্তি জন্মে ; রক্ষণে রুপণের অসুখ, অশান্তি ও অতৃপ্তি উপস্থিত হয়। অর্থদানে রিক্তহস্ত হইলেও দাতা পুণ্যসঞ্চয় করেন ; অর্থসংগ্রহে অনুরত থাকিলেও কৃপণের পাপসঞ্চয় হয়। মূখ-পুত্র পণ্ডিত-পিতার যেরূপ লজ্জাজনক, কৃপণ-পুত্রও দানশীল-পিতার সেইরূপ কুলাঙ্গার-স্বরূপ । রুপণের অবস্থা বড় শোচনীয়। তাছার স্থায় আত্ম-বঞ্চক জগতে আর দ্বিতীয় নাই। ধন তাহার একমাত্র উপাস্য দেবতা, এবং ধনোপার্জন ও ধন-সঞ্চয়ই তাহার সর্ব প্রধান ব্রত। গৃহসজ্জা ক্রয় করিবার নিমিত্ত নির্কোধ লোকে যেরূপ গৃহ বিক্রয় করিয়া থাকে,কৃপণ ব্যক্তিও অর্থ প্রাপ্ত হইয়া সুখী হইব, এই রূপ আশা করিয়া অর্থে পার্জনার্থ অন্তঃকরণের সমস্ত শক্তি বিনিযয় করিয়া থাকে । কৃপণ ব্যক্তি অর্থের পরিচর্য্য করে, কিন্তু অর্থ তাহার পরিচর্য্যা করে না । অধিকৃত অর্থ তাহার পক্ষে জর.স্বরূপ ; কারণ উহা তাহাকে নিরস্তুর দগ্ধ ও নিপীড়িত