বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলরক্ষা । করিতেছিলেন। একমাসের দীর্ঘ পীড়ার যন্ত্রণ র্তাহার শীণ কপোলে, জীর্ণ দেহে স্মৃতিচিহ্ন রাখিয়া গিয়াছে। মাঠের উপর দিয়া রৌদ্রতপ্ত বাতাস শুষ্কপত্রে মর্শ্বরধ্বনি জাগাইয়া মাঝে মাঝে ছুটিয়া আসিতেছিল। সেই সুনীরব আলোকমগ্ন মধ্যাহ্নে মৃদু কণ্ঠোচ্চারিত মহাভারতের কাহিনী সঙ্গীতের মত চারিদিকে একটা স্বপ্নরাজ্যের স্বষ্টি করিতেছিল । উঠানে পদ শব্দ হইল । কমল চাহিয়া দেখিল, যষ্ঠীচরণ। কমল গৃহমধ্যে প্ৰবেশ করিল। ঠাকুরমা ব্যস্তভাবে বলিলেন, “এস। দাদা, বস।” ষষ্ঠীচরণ বললেন, “কম্বুদিন আসিতে পারি নাই। আজ কেমন আছেন, ঠাকুরমা ?” “আর দাদা, এখন মরণ হইলেই বঁাচি । মরিতে তি বসিয়াছিলাম, পোড়া যম মােঝ পথে ছেড়ে দিলে । আর কষ্ট সইতে পারি না ভাই ! সবাই আমার ঘাড়ে দুঃখের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে সরে গেছে । সব যন্ত্রণা কেবল আমাকেই ভোগ করতে হচ্ছে। তবু কমলের যদি একটা গতি হ’তো ।” ঠাকুরমা নিশ্বাস ফেলিয়া অঞ্চলে চক্ষু মুছিলেন। ষষ্ঠীচরণ স্নিগ্ধস্বরে বলিলেন, “ভয় কি ঠাকুরমা, ভগবান মুখ তুলে চাইবেন। বৈকি। কৃষ্ণদেবপুরের সে সম্বন্ধটার কি হলো ?” ঠাকুরমা বলিলেন, “সে ভরসা গেছে। গরীব কুলীনের মেয়ে কেউ নিতে চায় না । তাতে যে রকম জ্ঞাতি শক্রি, তারা ভাঙচি দিয়ে এ সম্বন্ধটাও ভাঙ্গিয়া দিয়াছে।” 》을있8