বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । ওঃ, কতকাল পরে ! দীর্ঘ একুশ বৎসর সে তাহাকে দেখে নাই। সেই তিন বৎসরের শিশু আজ কত বড়ই হইয়াছে ! তখন সে মাতার কোলের উপর খেলা করিয়া বেড়াইত। এখন বিশ্ব-জননীর কোল তাহাকে আহবান করিতেছে ! আজি সে ঐশ্বৰ্য্যে, সম্পদে, শিক্ষায়, জ্ঞানে ও মানে লোকপূজ্য, মহামহিমান্বিত । কিন্তু সে ত এই সুখ, এই তৃপ্তির কোনও অংশ পায় নাই। নিজের পেটে ধরিয়াও সে আজ মাতার অধিকার হইতে বঞ্চিত, সে যেন নিতান্ত অপরিচিত, পথের পথিক ! নিকটে থাকিয়াও কত দূরে ! ধমনীর প্রতি শোণিতবিন্দু, শরীরের প্রত্যেক অস্থি মাতার শরীর হইতে গঠিত, কিন্তু তথাপি আজ পুত্রের সহিত, তাহার কোন ও সম্বন্ধ নাই ! সম্বন্ধ কি নাই ? রক্তমাংসের সম্পর্ক কি দেহ থাকিতে লুপ্ত হয় ? পৃথিবীর কোন শাস্ত্রে এ কথা লেখা ? তা না থাক, তাহার পুত্র ত সুখী হইয়াছে। আজ যে যশঃ, যে সন্মান, যে ঐশ্বৰ্য্যের সে অধিকারী, মোক্ষদা এতখানি ত্যাগাস্বীকার না করিলে, পুত্রের অদৃষ্ট কি তাহা ঘটিত ? অবশ্য জননীর হৃদয় তাহাতে চুর্ণ হইয়া গিয়াছে সত্য। দীর্ঘ একুশ বৎসরের মধ্যে এক রাত্ৰিও সে নিশ্চিন্তভাবে নিদ্র। যাইতে পারে নাই । প্ৰতি দিন, প্ৰতি মুহুর্তে, শিশুর সুকুমার শান্ত মধুর মুখখানি তাহার হৃদয়কে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিত ; নিমেষের জন্যও সে 8&ፄ 8