মস্তকের মূল্য। উষার প্রথম আলোক গৃহমধ্যে প্রবেশ করিবামাত্র সমর ডাকিল, “অজয় !” মানসিক দুশ্চিন্তাভারে ক্লান্ত হইয়া অজয়ের সবে তন্দ্ৰা আসিয়াছিল। ভ্রাতার আহবানে সে উঠিয়া বসিল। দাদার আরক্ত মুখমণ্ডল, নয়নের অস্বাভাবিক দীপ্তি দেখিয়া অজয় শঙ্কিত হইল। সমর বলিল, “ভাই, বৃথা শোকের সময় নাই। আমি এখনই এখান হইতে যাত্ৰা করিব। বাবার অনুসন্ধান করিব ; আর যদি পারি, এই অত্যাচারের "প্ৰতিশোধ লাইবার চেষ্টা করিব । ভিখারী ও গোকুল এখন নিরাশ্রয়। আজীবন তাহারা আমাদের সেবা করিয়াছে ; এ বৃদ্ধ বয়সে তাহারা কোথায় যাইবে ? উহাদের রক্ষার ভার তোমার উপর। কিন্তু এখানে থাকিওঁ না। উদয়পুরে, রাণার রাজ্যে ফিরিয়া যাও । সেখানে আমাদের যে সম্পত্তি আছে, তাহাতে তোমাদের সংসার বেশ চলিবে । ইতিমধ্যে যদি গুরুদেব আসেন, সব তাহকে বলিও ।” সমর উঠিয় দাড়াইল । “wi፵, ዘኮቭ !” “ছি । অজয়, তুমি কাতর হইও না । কত বড় গুরুতর কাজ, বুঝিতেছি না ?” “দাদা । তবে আমিও যাইব ।” পিাগল আর কি ! তুমি গৃহে থাকি ; যদি আমার চেষ্টা ব্যৰ্থ হয়, তাহা হইলে তুমি পিতার উদ্ধারের চেষ্টা করিও। এখন যাহা বলিলাম, তাহ পালন কর।” àR