পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । স্বপ্নরাজ্যটা মাখন যথারূপে হেমকান্তিব্য দখলে আসিল, তখন তাহার পিতামাতা উভয়েই চিত্তগুপ্তের কাছে হিসাব নিকাশ দাখিল করিষা ছিলেন নিতান্ত অনাবশ্যক ভার বোঝা স্কন্ধ হইতে নামিয়। যা ‘ওয়াতে হেমকাস্তি ও পবন নিশ্চিন্ত হইয়াছিল । শিক্ষিতা নবীন সুন্দরীর সাহচর্য অবাধে ৭ প্রচুরপরিমাণে উপভোগেব আকাজক্ষায় তখন হেমকান্তি চন্দন নগরে একটি নিকুঞ্জ ভবন ক্রম কপিল ১ গঙ্গাতীরে বেলাভূমির উপরেই সুদৃশ্য পুষ্পাকামান । পল্লব-বহুল নিবিড বৃক্ষ বীথির আবরণ ভেদ করিয়া কোঁ তহলা মানব চক্ষু সহসা তাঙ্গাদিগের নির্জন প্ৰেম-চচ্চার ব্যাঘাত জন্মাইতে পারিত না । কুসুম পুঞ্জের ঘন সুগন্ধে কনািনতল আমোদিত হইখা উঠিত । ভাগীরথীর কলোচ্ছাস পাষাণ সোপানে প্রতিহত কইনা একটা মধুর রাগিণী ও বিচিত্ৰ ছন্দের সৃষ্টি কবিতা । আত্মহতারা হেমকান্তি পত্নীর সৌন্দৰ্য্যসুধা তৃপিতি নেত্ৰে পান কবিতে করিতে বহু মধুর সন্ধ্যা ও চন্দ্ৰালোকিত রজনী সেই সোপানে,াপরি অতিবাহিত করত । কিন্তু এরূপ অবসব ক্রমশঃ হেমকান্তির অষ্টে দুর্লভ হইয়া উঠিতে লাগিল। “ভান্দরা” শ্ৰীলুক্ত নরেন্দ্রসুন্দরের দৌলতে ও যত্নে সে বহু রাজা, মহারাজ, হাকিম ও উকীলের সহিত পরিচিত হইয়াছিল। তেঁহাদিগের সান্ধ্যভোজ, বাগানপার্টি ও ষ্টীমার