পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• لهB হইলেও কখনও দীর্ঘকালের জন্য দূর হয় নাই। মুর্শিদকুলীর পর সুজাউদ্দীন বাঙ্গালা শাসন করেন ; কিন্তু তীয় পুত্র সরফরাজকে হত্য করিয়া প্রভুহস্ত আলিবর্দীর পক্ষে বাঙ্গালার মসনদ উৎকণ্ঠার কণ্টকশয়ন বলিয়াই মনে হইয়াছিল। তাহার ভাগ্যে সুখলাভ হয় নাই । পূৰ্ব্বে যখন মগর পূর্ববঙ্গে অত্যাচার করিত, তখন ইসলাম খাঁ ঢাকায় রাজধানীস্থাপন করিয়া প্রজারক্ষার উপায় করিয়াছিলেন ; কিন্তু মহারাষ্ট্রীয়গণ যখন পশ্চিম বঙ্গ আক্রমণ করিল, তখন আলিবর্দী প্রজারক্ষা করিতে পারিলেন না। মহারাষ্ট্রীয়গণ র্তাহাকে যুদ্ধে বিপন্ন করিল, তাহার রাজধানী মুর্শিদাবাদ লুষ্ঠিত করিল, বাঙ্গালীর নিকট চৌথ আদায় করিতে লাগিল। পঞ্চসহস্ত্রের প্রত্যাবর্তন ও মহারাষ্ট্রীয়দিগের সহিত আলিবর্দীর চৌধের ব্যবস্থানিৰ্দ্ধারণ তাহার দৌৰ্ব্বল্যেরই পরিচায়ক। তিনি যখন জরাজীর্ণ দেহে রোগশয্যায় এক দিকে প্রজার দুর্দশার আর এক দিকে দৌহিত্র সিরাজদ্দৌলার উচ্ছ,খল ব্যবহারের কথা মনে করিতেন, তখন যে মৃত্যুই তাহার নিকট ঈঙ্গিত মনে হইত, তাহাতে আর সন্দেহ নাই। আলিবন্দীর উত্তরাধিকারী সিরাজদ্দৌলার নাম আজও বঙ্গদেশে ঘৃণার সহিত উচ্চারিত হয়। সিরাজদ্দৌলার অত্যাচারে দেশের প্রধানগণ তাহার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন—শেষে পলাশীক্ষেত্রে বিদেশী বণিক ইংরাজের নিকট সিরাজদ্দৌলার পরাজয় ও দেশে আবার অরাজকতার আবির্ভাব। কারণ, ইংরাজ তখন বাঙ্গালার শাসনভার গ্রহণ করেন নাই। সে ভর মীরজাফরের। বঙ্কিমচন্দ্র লিখিয়াছেন, তখন “মীরজাফর গুলি খায় ও ঘুমায়। ইংরেজ টাকা আদায় করে ও ডেস্পাচ লেখে । বাঙ্গালী কাদে আর উৎসন্ন যায়।” দেশের অবস্থা উত্তরোত্তর ভীষণ হইতে লাগিল—“মানুষের সিন্দুকে টাকা রাখিয়া সোয়াস্তি নাই, সিংহাসনে