পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ժօ ও মগধে বহু মন্দির, বিহার, শজারামাদি বিদ্যমান ছিল।” এই পরিব্ৰাজক যখন শিক্ষার্থী হইয়া চীন হইতে নালন্দা মহাবিহারে আসিয়াছিলেন, তখন সমতটের রাজপুত্র শিলভদ্র সে মহাবিহারের মহাস্থবির। “মহীপালদেবের একাদশ রাজ্যান্ধে তৈলাটকবাসী বালাদিত্য নামক জনৈক ব্যক্তি” যে নালন্দা মহাবিহারের জীর্ণসংস্কার করাইয়াছিলেন, তদীয় পুত্র নয়পালদেবের রাজত্বকালে বিক্রমপুরবাসী দীপঙ্কর ঐজ্ঞান সেই মহাবিহারের সঙ্ঘস্থবির নিযুক্ত হইয়াছিলেন। তিনিই তিব্বতরাজের অনুরোধে তিব্বতে যাইয়া তথায় বৌদ্ধধৰ্ম্ম পুনৰ্জ্জীবিত করেন। কিন্তু বঙ্গে পাঠানদিগের আবির্ভাবের বহু পূৰ্ব্বে এই বৌদ্ধধৰ্ম্ম তান্ত্রিকতায় বিকৃত ও হিন্দুপ্রাধান্তে পীড়িত হইয়া প্রায় বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছিল। ষে সকল বৌদ্ধ পারিয়াছিল, হিন্দুসমাজে ফিরিয়া আসিয়াছিল। কিন্তু তখন বর্ণভেদশাসিত হিন্দুসমাজের সামাজিক নিয়ম যেরূপ কঠিন হইয়া উঠিয়াছিল, তাহাতে বর্ণভেদবর্জিত বৌদ্ধদিগের অনেকের পক্ষেই ষে হিন্দুসমাজে প্রত্যাবর্তনপথ রুদ্ধ হইয়াছিল, তাহ সহজেই অনুমেয়। কেহ কেহ অম্বুমান করেন, “নবশাখ"দল এই সময় হিন্দুসমাজে প্রবেশলাভ করে। কিন্তু “নবশায়কদিগের" সম্বন্ধে এই অনুমান বিচারসহ বলিয়া মনে হয় না। এইরূপ বহু লোক একবার হিন্দুসমাজের সীমা ত্যাগ করিয়া আর তাহাতে প্রবেশাধিকার পাইতেছিল না। আরও একদল লোকের সংখ্যা তখন পুষ্ট হইয়াছে ; তাহারা পতিতবৌদ্ধ। মাতৃকয়৷ মহাপ্রজাপতির ও উপেক্ষিতা পত্নী গোপার নিৰ্ব্বন্ধাতিশয়ে এবং সম্ভবতঃ তাহাদিগের প্রতি স্বীয় কর্তৃবাচ্যুতির কথা স্বরণ করিয়া বুদ্ধদেব যখন মহিলাদিগকে স্বধৰ্ম্মে দীক্ষাদেন, তখনই তিনি প্রিয় শিষ্ঠ আনন্দকে বলিয়াছিলেন, এই ষে মহিলার ধর্মের জন্য গৃহত্যাগ করিতেছেন, ইহার ফলে হইবে-সদ্ধশ্ব যত দিন স্থায়ী হইতে