বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
কারাকাহিনী।

প্রিটোরিয়ায়।

 ৩রা প্রিটোরিয়ায় পৌঁছিলাম। সেখানে সকলই নূতন মনে হইল। জেল ও নূতন তৈরী, লোক ও সব নূতন। আমাকে খাইতে বলা হইল, কিন্তু ইচ্ছাই ছিল না। “মীলি মিলের” পরিজ্, দেওয়া হইল, এক চামচ খাইয়া রাখিয়া দিলাম। দারোগা অবাক্‌; বলিলাম, ক্ষুধা নাই; সে হাসিল। তাহার পর আমাকে অন্য এক দারোগার জিম্মায় রাখা হইল। সে বলিল, গান্ধী, টুপি নামাও। আমি টুপি নামাইলাম। তখন জিজ্ঞাসা করিল, তুই কি গান্ধীর ছেলে? উত্তর দিলাম, না—আমার ছেলে বোক‍্সরষ্টে ছয় মাসের জেল খাটিতেছে। এখন আমাকে একটি কুঠুরীতে বন্ধ করা হইল, সেখানে পাইচারী করিতে লাগিলাম। কিছুক্ষণ পরে দারোগা দরজার ছিদ্র দিয়া আমায় পাইচারী করিতে দেখিয়া বলিল, “গান্ধী, বেড়াস্ না—এক জায়গায় বোস্, মেঝে খারাপ হইতেছে।” পাইচারী বন্ধ করিয়া দিলাম; এক পাশে দাঁড়াইলাম। সঙ্গে পড়িবার কিছু ছিল না। আমার পুস্তক গুলি আমাকে দেওয়া হয় নাই। আন্দাজ ৮ টার সময় আমাকে বন্ধ করা হয়—১০টার সময় ডাক্তারের কাছে লইয়া যাওয়া হইল। ডাক্তার জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার কোন ও সংক্রামক রোগ আছে? ‘না’ বলায় ফিরিয়া আসিলাম। আবার কুঠুরীতে বন্ধ করা হইল। ১১ টার সময় আমাকে অন্য একটি ছোট কুঠুরীতে লইয়া যাওয়া হইল। সেখানে অনেক ক্ষণ থাকিলাম। এই কুঠুরী গুলি এক এক জনের জন্য তৈয়ারী,—১০ ফিট লম্বা ৭ ফিট চওড়া, মেঝেয় আলকাতরা দেওয়া। মেঝে চক‍্চকে রাখার জন্য দারোগার অনুক্ষণ চেষ্টা। লো বাতাসের জন্য কাচ ও লোহার গরাদ দেওয়া অনেকগুলি ছোট ছোট জানালা আছে। রাত্রে, কয়েদীকে দেখিবার জন্য ইলেকট্রিক