গৃহপ্ৰত্যাবৰ্ত্তন, শাস্ত্ৰচৰ্চা, পুনৰ্ব্বৰ্জন ও বিষয়কৰ্ম্ম ২৩ সে আশা নিৰ্ম্মল হইয়াছিল। রামমােহন রায় সাহসের সহিত সকল প্রকার কুসংস্কার ও কুপ্রথার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হওয়াতে তিনি পুনর্বার তাহাকে গৃহ হইতে বিদূরিত করিয়া দিলেন। কিন্তু কিছু কিছু অর্থসাহায্য করিতেন । ১৮২৬ সালে, রামমোহন রায়ের বন্ধু আড্যাম সাহেব বলেন যে, রামমোহন রায় এই সময় ১২৷১৩ বৎসর কাশীধামে বাস করিয়া ছিলেন } সম্ভতঃ এই সময়ে তিনি তথায় সংস্কৃত শাস্ত্রের বিশেষ চৰ্চা করিয়াছিলেন ; রাজার দেহত্যাগের পর, ১৮৩৩ সালে, লণ্ডন নগরে, একটি বক্তৃতায় ডবলিউ, জে ফক্স সাহেব বলেন যে, এই সময়ে রামমোহন রায়ের মনশ্চক্ষুর সম্মুখে তাহার পিতার ক্রুদ্ধ মুখ সময়ে সময়ে প্রকাশিত হইত। সম্ভতঃ তিনি এ কথা রামমোহন রায়ের নিজমুখে শুনিয়াছিলেন । পিতৃবিয়োগ, পিতৃসম্পত্তি, মোকদ্দমা ও ফুলঠাকুরাণী বামকান্ত রায়, ১৭২৫ শকে, বাঙ্গালা ১২১০ সালে ইহলোক পরিত্যাগ কবেন । পিতার মৃত্যুর সময়, রামমোহন রায় তাহার নিকট উপস্থিত ছিলেন । তিনি আড্যাম সাহেবকে বলিয়াছিলেন যে, মৃত্যুকালে তাহার পিতা একপ ভক্তির সহিত রাম নাম উচ্চারণ করিতে লাগিলেন যে, তাহাতে তাহার গভীর শ্রদ্ধা উৎপন্ন না হওয়া অসম্ভব। রামমোহন রায়ের একজন জীবনীলেখক বলেন, “রামকান্ত রায় মৃত্যুর দুই বৎসর পূর্বে আপনার সমুদয় সম্পত্তি তিন পুত্রের মধ্যে বিভক্ত করিয়া দেন।” কিন্তু রামমোহন বায়ু পিতার মৃত্যুর অনেক দিন পর। পৰ্য্যন্ত উক্ত সম্পত্তি গ্ৰহণ করেন নাই । বৰ্দ্ধমানের মহারাজা তেজৰ্চাদ বাহাদুর, ১৮২৩ খ্রীঃ আঁব্দে কিস্তিবন্দি বন্ধকের পাওনা টাকার জন্য কলিকাতা প্রিভিনfাল কোটে তাহার নামে নালিশ করেন । তিনি তাহার এণ্ডু,উত্তব দেন যে, তিনি পৈতৃক বিষয় গ্ৰহণ করেন নাই বলিয়া