বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ অধ্যায় । >@ > জাকে আপনার নিকট পাঠাইয়া দিয়াছি, আপনার সম্মুখ হইতে কে তঁহাকে অপসারিত করিল ? শীঘ্র প্রকাশ করিয়া উৎকণ্ঠিত মনকে পরিতৃপ্ত করুন। তখন গিরিরাজ অশ্রুপুর্ণনয়নে বলিলেন, রাজ্ঞি ! ব্রহ্মাদি দেবতা আমার নিকট আগমন করত গঙ্গাধরভিক্ষা করিয়া স্বৰ্গপুরে লইয়। গিয়াছেন । a এই কথা শ্রবণমাত্রে রাজ্ঞী ছিন্নমুল-তরুবর ন্যায় ভূতলে পড়িয়া উচ্চৈঃস্বরে রোদন, এবং শিরে করাঘাত করিতে লাগিলেন ; পুনঃ পুনঃ পাশ্ব পরিবর্তনে সৰ্ব্বাঙ্গ ধূলিধূসরিত হইলে বোধ হইল, রাণীর ক্ৰন্দনশব্দে ধরণীও যেন সম দুঃখ-ভোগিনী হইয়াছেন তখন গিরিরাজ কষ্টে ধৈর্য্যাবলম্বন করত, রাণীর অঙ্গ স্পর্শ করিয়া বলিলেন, প্রেয়সি ! আমাদের সমান ভাগ্যহীন আর কেহই নহে ; তাহা ন হইলে দয়াময়ী কন্যা ঈদৃশ নির্দয় ব্যবহার কেনইবা করিবেন ? ব্রহ্মাদি দেবতাদিগকেই বা কি বলিব ? অামাদের কপালক্রমে কন্যাই স্বয়ং উদ্যোগিনী হইয়া গমন করিয়াছেন। এই কথা শুনিয়া মেনকা বলিলেন, আদ্রিনাথ ! সে আবার কি প্রকার? হিমালয় বলিলেন, রাজ্ঞি । আনুপুৰ্ব্বিক শ্রবণ কর। এই বলিয়া স্বকীয় স্বপ্ন দর্শন অবধি শেষ পর্য্যন্ত সমস্তই মেনকার নিকটে পরিচয় দান করিলে, আদ্যোপান্ত শ্রবণ করিয়া রাজ্ঞীর শোকানল কিয়দংশে নিৰ্ব্বাপিত হইল, কিন্তু অভিমান বশতঃ কিয়ৎকাল নিস্তব্ধ থাকিয়া ভৰ্ত্তাকে সম্বোধন করিয়া বলিতে লাগিলেন ; জীবিতনাথ ! যদিও গঙ্গার বিরহে আপনিও শোকাকুল হইয়াছেন,