বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্ব। বিংশ অধ্যাম । 3 * 4 না। অতএব প্রেয়লি ! তোমার চিন্তা নাই ; তুমি স্ত্রী স্বভাবসুলভ অকারণ ভয়েভীত হইয়া আমার ত্রিভুবন জয়ী নিষ্কলঙ্ক যশোরাশিতে কলঙ্কবিন্দু প্রদান করিও না । মদন -এই কথা বলিলে রতি বলিলেন, জীবনাথ ! অপনি যতই বলুন, কিছুতেই আমার অন্তঃকরণ প্রশান্ত হইতেছে না, ইহার কারণ কি ? কামদেব বলিলেন, কান্তে ! তোমার নিতান্ত কোমলন্তঃকরণ, সুতরাং ভ্রমভীরু হইয়াছ। এই কথা বলিয়া কিয়ংকাল নিবৃত্ত থাকিয়া কামদেব ক্রমশঃ নিকটস্থ হইলেন, এবং পয্যায়ক্রমে সংরোপিত তরুশ্রেণী লতাগুল্ম দি বেষ্টনে প্রাচীরের স্যায় আবৃত মহেশের ধ্যান স্পিদে, চোরের দ্যায় নিঃশব্দে প্রবেশ করিয়া আশ্রমের প্রান্তভাগে যে স্থানে রুদ্রাক্ষ বৃক্ষের শাখা সকল ধরাতলাবলম্বিনী হইয়াছে, সেই স্থানে পল্লবাৰ্বত হইয়া থাকিলেন। সেই আশ্রমমধ্যে দেবদারুশাখাতে আচ্ছাদিত পরিষ্কৃত বেনিকার উপরিভাগে কতকগুলি অস্তিত কুশে পরে শাৰ্দ্দ,লচৰ্ম্ম পাতন করিয়া, তদুপরি উপৰিষ্ট যোগরত মহাদেবের অপূৰ্ব্বৰূপ দর্শন করিতে লাগিলেন। আশ্রমের পাশ্বাস্থ দ্বারনিকটে সখীদ্বয় উপবিষ্ট হইয়া আছেন । কিছুকাল পরে দৃঢ়তর বদ্ধ যোগাসন শ্লথ হইতে লাগিল ; ক্রমশঃ ধ্যান ভঙ্গ হইয়া নয়নত্রয় প্রোক্ষ্মীলিত হইলে, নন্দী অষ্টাঙ্গ প্রণামান্তে অনুমতি লাভের ইচ্ছায় কিঞ্চিৎ অবনত হইয়া কিয়ৎকাল দণ্ডায়মান থাকিলে ষোগাবর বলিলেন, নন্দিন! অামার প্রমথগণের সহিত তুমি আনন্দমন আছ ? নন্দী বলিলেন,