বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩:e মহাভাগবত । চেতা এবং দীনস্বভাব ; তখন তুমি যে তপস্যার দ্বারা উপাৰ্জ্জনীয় ধন, তাহাতে আর অণুমাত্রও সংশয় নাই। এই কথা শুনিয়া শিব বলিলেন, হে পরমেশ্বরি । এই কোটিশঃ ব্ৰহ্মাণ্ডমধ্যে তুমিই আরাধ্যতমা ; তুমিই বিশ্বজননী ; অতএব তুমি আবার কার আরাধনা করিবে ? অামাকে নিজগুণে অনুগ্রহ করিয়াই কেবল কৃতকৃতাৰ্থ করিয়াছ । এক্ষণে আমার তিনটি বর প্রার্থনীয় অাছে। প্রথম বর, তুমি যখন এই কালীৰূপ ধারণ করিবে, তখনই আমি শবপ্রায় হইয়া পদতলে অবস্থান করিব ; দ্বিতীয়, তুমি ত্রিলোকমধ্যে শববাহন। নামে প্রখ্যাত হইবে, অথচ শিবহৃদয়স্থায়ী থাকিবে ; আর তৃতীয়, যৎকালে মহাকালী মুৰ্ত্তি ধারণ করিবে, তখনও আমি ঐৰূপে চরণদ্বয় প্রাপ্ত হইব । শস্তু কৃতাঞ্জলি হইয়া এই কথা বলিলে, পাৰ্ব্বতী সহাস্য বদনে তথাস্তু বলিয়া, পুনৰ্ব্বার গৌরীমূৰ্ত্তি ধারণ করিলেন। এই সময়ে পাৰ্ব্বতীর সখীদ্বয় এবং শিবানুচর নন্দী নিকটে আসিয়া উপস্থিত হইলেন; কিন্তু মহামায়ার কি অপূৰ্ব্ব মায়া, অপেক্ষণের নিমিত্ত সখীদ্বয় এবং নন্দী যে বহির্গমন করিয়া ছিলেন, তন্মধ্যেই বহুকালমাধ্য কালীৰূপ ধারণ প্রভৃতি ঐ সকল কাৰ্য্য নির্বাহ হইল ! ঐ সকল বিশেষ বিবরণ নন্দী প্রভৃতি কেহই জানিতে পারিলেন না। সহস্ৰ নামের ফলকথন । মহাদেবভাষিত দুগাদেবীর এই সহস্ৰ নাম যে ব্যক্তি ভক্তিপূর্বক পাঠ করিবেন, সে ব্যক্তির সাযোজ্য মুক্তি লাভ