চতুঃঞ্চাশত্তমোধ্যায়। 8b۵ ب রোদন করিয়া উঠিল ; এবং কেহ কেহ বলিতে লাগিল, গোপরাজ ! আপনি পরম জ্ঞানী হইয়া বাতুলের মত হইলেন কেন ? এই মাত্র যে আপনি রামকৃষ্ণকে মথুরায় রাখিয়া আসিলেন, আবার এখনই কি তাহা বিস্মৃত হুইলেন ? আপনি এখন ধৈর্য্যাবলম্বন করুন। অনন্তর গোপরাজ কতক শান্ত হইলেন, এবং রোদন করিতে করিতে সকলেই গোকুলে প্রত্যাগমন করিলেন।. তাহাদিকে : তদবস্থ দেখিয়া গোকুলবামী সকলেই ব্যাকুল হইয়া উঠিল। পরিশেষে রামকৃষ্ণের সবিশেষ বৃত্তান্ত শুনিয়া ব্ৰজবাসীগণ সকলেই রোদন করিতে লাগিল। নন্দপত্নী যশোদা মণিহার। ফণীর স্তায় পাগলিনী হইয় বারম্বার ধুল্যবলুষ্ঠিত হওত রোদন করিতে করিতে সংজ্ঞা শুষ্ঠ হইলেন। এই প্রকারে কিয়দিবস অতিবাহিত হইলে, একদা শ্ৰীকৃষ্ণ মনে মনে বিবেচনা করিয়া গোপিকাদের শ্বেকাপনোদনের নিমিত্তে ভক্তিপরায়ণ উদ্ধবকে ব্রজধামে প্রেরণ করিলেন । উদ্ধব, বৃন্দাবনে উপস্থিত হইয়া নন্দ যশোদকে এবং শ্রীরাধিক প্রভৃতি গোপীকাদিকেও শ্রীকৃষ্ণের অভিপ্রেত বাক্য সমুদয় নিবেদন করিয়া, তদ্ধিরহ জনিত সন্তাপের অনেক লাঘৰ করত স্ব স্থানে প্রস্থান করিলেন । % অনন্তর বসুদেব, মহামুনি গর্গাচাৰ্য্যকে আনাইয়া রাম কৃষ্ণের (দ্বিজাতীর কৰ্ত্তব্য ) সংস্কার কৰ্ম্ম সম্পন্ন করিলেন । সেই গর্গাচার্ষ্যই ঐ মহাবল পরাক্রান্ত মহাত্মা রামকৃষ্ণকে সমুদয় শাস্ত্রে এবং ধনুৰ্ব্বেদে সুশীক্ষিত করেন Nএই প্রকারে > বসুদেবতনয় রামকৃষ্ণ সৰ্ব্ব গুণে গুণাস্থিত হইয় গুক্তি
