৬৪ মহাভাগবত । সকলেই সেই শিবশ্বস্ত সভাতে আগমন করিলেন, কিন্তু সভাস্থ হইয়া যজ্ঞরক্ষক বিষ্ণুকে দর্শন করত কথঞ্চিৎ নির্ভয়ে কাল যাপন করিতে লাগিলেন । প্রজাপতি কনিষ্ঠ কষ্ঠ সতী ব্যতিরেকে আর আর । সমস্ত কষ্ঠাকে আনাইয়া, তুরি ভুরি বস্ত্ৰালঙ্কার দ্বারা পরি. তোষ করিলেন। যজ্ঞ দর্শনে সমাগত ব্যক্তিদিগের পান ভোজন্নার্থ প্রজাপতি কোন স্থানে পুপপৰ্ব্বত, কোন স্থানে মিষ্টান্নপৰ্ব্বত, কোথায় মৃতকুল্য, কোথায় মধুকুল্য, এই প্রকার নানাবিধ স্বখাদ্য মুখপেয় দ্রব্যাদি প্রচুরৰূপেই প্রস্তুত করিয়াছেন। প্রজাপতির আজ্ঞাতে “দীয়তাং” “ভুজ্যতাং” শব্দ সহকারে যজ্ঞ কৰ্ম্ম প্রবৃত্ত হইল, ৰহুধা দেবী স্বয়ং আসিয়া যজ্ঞের কুগুৰূপ হইলেন ; সেই কুণ্ডে হুতাশন, আসিয়া নিধুম শিখার প্রজ্বলিত হইলে, স্বয়ং ব্রহ্মা সেই যজ্ঞের ব্রহ্মকার্য্যে বৃত হইলেন ; অষ্টাশীতি সহস্র পুরোহিত হোতৃকার্য্যে বরণ, এবং চতুঃষষ্টি সহস্র উদগীতা, অর্থাৎ সামবেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ, সামবেদ গানে নিযুক্ত হইলেন ; যজ্ঞের অধিপতি দেবতা স্বয়ং যজ্ঞভূমিতে আবিভূত হইলেন ; জগতের রক্ষা কৰ্ত্ত পরম পুরুষ বিষ্ণু সেই যজ্ঞ রক্ষা করিতে নিজাসনে উপবেশন করিলেন । এই প্রকারে ঘোরঘটামুষ্ঠানে সমারব্ধ যজ্ঞ প্রচলিত হইল। দধীচি মুনির সহিত দক্ষের কথোপকথন। জ্ঞানিশ্রেষ্ঠ দধীচি মুনি, সেই সভাতে সমাগত হইয়। দেখিলেন, ঈশানদিক শুন্য সে স্থানে মহেশ্বর কি দতমুচর
