পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাভাগবত । করিলেন ; বহু দিবসের পর সমাগত নিজসুতাকে দর্শন করিয়া দক্ষপত্নী স ত্বরে তাসিয়া ক্রোড়ে করিলেন, অঞ্চল দ্বারা মুখ মার্জন করিয়া বারম্বার চুম্বন এবং পুলকাশ্ৰমজলে অভিসেক করত বলিতে লাগিলেন, হা গো মা! তুমি দেবদেব সদাশিবকে পতি প্রাপ্ত হইয়া জননীকে কি বিস্মৃত হইয়াছিলে ? তোমার আদর্শনে শোকসাগরে অামি যে নিমগ্ন রহিয়াছি, তাহা কি এক বারও মনে করিতে না? মা, তুমি আদ্যাশক্তি পরম প্রকৃতি; এই জগৎ সংসারকে তুমিই প্রসব করিয়াছ ; মাতঃ ! তুমি যে আমার গৰ্বে জন্মগ্রহণ করিয়াছ, ইহাই আমার অসীম ভাগ্যোদয় বলিতে হইবে; বহুদিবস তোমার আদর্শনে যে শোকরশি সমুদ্ভূত হইয়াছিল, অদ্য তোমার মুখচন্দ্র দর্শন করিয়া সেই সমস্ত দুঃখই দূরীকৃত হইল। জননি ! তোমার পিতা দুৰ্ম্মতিপরতন্ত্র হইয়। সৰ্ব্বক্ষণ রোষযুক্ত হইয়া থাকেন; তুমি যদি আপনিই দয়া করিয়া এই দুঃখিনী জননীকে দেখিতে না আসিতে,তবে আর কিছুতেই ঐ দুরন্ত শোক হইতে পরিত্রাণ পাইতাম না । তনয়ে! তোমার পিতার একান্তই মন্দ বুদ্ধি উপস্থিত ; ঐ দোষে শিবকে পরম দেবতা বলিয়াই জানিতে পারিলেন না; তাহার বিদ্বেষ করিবার উদ্দেশে এই মহতী আড়ম্বরে যজ্ঞারম্ভ করিআছেন; তজ্জন্যইতোমাদিগকে এ যজ্ঞে আবাহন করেন নাই; এই নৃশংস আচরণ,জন্ত আমরা যাবদায় স্ত্রীগণে নিষেধ করিয়াছি ; এবং বিচক্ষণ মুনিগণেরাও নানা প্রকার শাস্ত্র যুক্তি দ্বারায় এ বিষয়ে নিবারণ করিয়াছিলেন ; কিন্তু প্রজাপতি সেই সকল বাক্যই অবহেলন করিয়াছেন। এই কথা