পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ মতিবিবী আলিবর্দীর জ্যেষ্ঠ জামাতা নিবাইস মহম্মদ দয়াদাক্ষিণ্যপ্রভৃতি বহু সদগুণের আধার ছিলেন। র্তাহার অমায়িকতা ও সরল প্রকৃতিতে মুরশিদাবাদের জনসাধারণের চিত্ত তৎপ্রতি আকৃষ্ট হইয়াছিল। অধীন কৰ্ম্মচারিগণের সহিত তিনি অকপট বন্ধুর ন্যায় ব্যবহার করিতেন। দরিদ্রের কাতর প্রার্থনা তদীয় স্নেহপ্রবণ হৃদয়কে সহজে দ্রবীভূত করিত। কাহারও বিপদের সংবাদ অবগত হইলে তিনি অযাচিতভাবে বিপন্ন ব্যক্তির সমীপস্থ হইয়া যথাসাধ্য সাহায্য দান করিতেন । মুরশিদাবাদ নগরের যাবতীয় দুঃস্থ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার নিমিত্ত র্তাহার প্রাসাদদ্বার সব্বদা উন্মুক্ত থাকিত। অভাবগ্ৰস্ত লোকের সাহায্যের নিমিত্ত তিনি নিয়মিতরূপে মাসিক সপ্তত্রিংশং সহস্র মুদ্রা ব্যয় করিতেন । যাহারা নিয়মিতরূপে সাহায্য প্রাপ্ত হইত তাহাদের নাম ও নিদিষ্ট সাহায্যের পরিমাণ নিবাইসের নিকট লিপিবদ্ধ থাকিত। প্রতি মাসের প্রথম দিবস তিনি স্বয়ং দাতব্য মুদ্রা বিভাগ করিয়া বিশ্বস্ত ভৃত্যদ্বারা যথাস্তানে প্রেরণ করিতেন। কেবল পরিচিত ও আত্মীয় হইলেই মে নিবাহস সাহায্য দান করিতেন এমন নহে। দুরবস্থাপন্ন অপরিচিত ও অনাত্মীয় ব্যক্তির প্রতি করুণাবারি সেচন করিতেও তিনি কদাচ কুষ্ঠিত হইতেন না । গিরীয়ার যুদ্ধের অবসানে নবাব সরফরাজ খার জননী নেফিছ, বেগম নিরাশ্রয়া হইলে, নিবাইস আগ্রহ সহকারে তাহাকে স্বকীয় আলয়ে আশ্রয় প্রদান করেন। এ স্থলে ঐ মহিলা সাতিশয় সম্মানের