বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৩৫ ) ভাগবিবীকে বলিলেন “কতিপয় বহুমূল্য অলঙ্কার পরিধান নিবন্ধন তোমার স্পৰ্দ্ধা উপযুক্ত সীমা লঙ্ঘন করিয়াছে ; কিন্তু তুমি সৰ্ব্বদা স্মরণ রাখিও আমার এই পরিচারিক ও তোমার মধ্যে পদমর্যাদা-বিষয়ে অণুমাত্রও প্রভেদ নাই ।” নৰ্ত্তকী কখনও এরূপ পরুষ ব্যবহার প্রত্যাশা করে নাই ; সুতরাং সে তথা হইতে গাত্ৰোখান করিয়। নিবাহসের নিকট গমন করিল, এবং অশ্রুপূর্ণলোচনে তাহার নিকট সমস্ত ঘটন। বিবৃত করিল। নিবাইস এই রমণীর প্রতি নিরতিশয় অনুরক্ত ছিলেন ; কিন্তু উপস্থিতক্ষেত্রে তাহার মনোরঞ্জনের নিমিত্ত সন্ত্রাস্তবংশোদ্ভব সৈয়দ ললনার প্রতি কোনরূপ অসন্তোষ প্রকাশ করা সঙ্গত মনে করিলেন না। এবং নর্তকীকে বলিলেন “আমি পূৰ্ব্বেই বলিয়াছ এই মহিলা সাতিশয় গৰ্ব্বিত, ই হার সহিত সাবধানে বাক্যালাপ করিও । আমার উপদেশ অবহেলা করিয়া উপযুক্ত প্রতিফল পাইয়াছ, এখন কোন প্রতিবিধান করা আমার সাধ্যায়ত্ত নহে।” সৈয়দ পত্নী নর্তকীর প্রতি পরুষবাক্য প্রয়োগ করিয়াই অভিমানভরে স্বালয়ে প্রত্যাবৃত্ত হইয়াছিলেন । নিবাইস দেখিলেন এই ঘটনার পর কতিপয়ু দিবস অতীত হইলেও ঐ মহিলা আর তাহার আলয়ে আগমন করেন না ; অগত্য তিনি লোক প্রেরণ করিয়া তাহার ক্ৰোধোপশমের চেষ্ট৷ করিলেন, কিন্তু সফলকাম হইতে পারিলেন না। অবশেষে নিবাইস সৈয়দ ললনাকে বলিয়া পাঠাইলেন আপনি অদ্য আমার গৃহে পদার্পণ না করিলে আমি ঘেসিটিবিবীকে সঙ্গে লইয়া আপনার আলয়ে উপস্থিত হুইব । গোলাম হোসেনের জননীকে এবার নিবাইসের গৃহে আগমন করিতে হইল এবং তিনি উপস্থিতু হইয়া অভিমানভরে বলিলেন আমি শীঘ্রই পাটনায় গমন করিব। নিবাইস এই কথা শুনিয়া সাতিশয় দুঃখিত হইলেন এবং বলিলেন আমি জ্ঞাতসারে আপনার কোন অবমাননা করিয়াছি বলিয়। স্মরণ হয় না, তবে আপনি বিনা কারণে