( בו כ ) সসৈন্তে বৰ্দ্ধমানে পলায়ন করিয়া জীবন রক্ষা করিলেন। মীরজাফরের সাহায্য করিবার নিমিত্ত আলিবদীর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হাজি আহম্মদের জামাতা আতাউল্লাও সসৈন্তে প্রেরিত হইয়াছিলেন। আতাউল্লা মহারাষ্ট্রীয়গণকে উড়িষ্যা প্রদেশ স্কষ্টতে বিতাড়িত করিয়া বদ্ধমানে মীরজাফরের সহিত মিলিত হন । এই সময় উভয়ে আলিবর্দীকে বাঙ্গালার শাসন-কর্তৃত্ব হইতে অপসারিত করিবার নিমিত্ত ষড়যন্ত্র করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । আলিবর্দী এই বৃত্তান্ত অবগত হইয়া অচিরে তথায় আগমন করিয়া মীরজাফরকে পদচ্যুত করেন। মীরজাফর প্রথমতঃ আলিবর্দীর বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিবার প্রয়াস পাইয়াছিলেন ; কিন্তু তাহার সৈন্তগণ র্তাহাকে পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক আলিবর্দীর পক্ষাবলম্বন করিলে, তিনি নিরুপায় হইয়া দয়ার সাগর নিবাইস মহম্মদের আশ্রয় গ্রহণ করেন । নিবাইস মহম্মদের অনুরোধে বাধ্য হুইয়া আলিবর্দী অগতা মীরজাফরকে বকর্সির পদে স্থিরতর রাখিয়াছিলেন। । জগৎশেঠ মহাতাপচাদ আলিবর্দীর রাজস্ব সচিব ও খাজাঞ্চির পদে নিযুক্ত ছিলেন। ই হার আদিপুরুষ মাণিকচাদ প্রথমতঃ বাণিজ্যোপলক্ষে ঢাকায় অবস্থান করিতেন। মুরশিদকুলী খ। বাঙ্গালার দেওয়ানি পদলাভ করিয়া ঢাকায় পদার্পণ করিলে, মাণিকচাদের সহিত র্তাহার সৌহাৰ্দ্দ ংঘটিত হয়। যৎকালে মুরশিদকুলী খাঁ ঢাকা পরিত্যাগ করিয়৷ মুরশিদাবাদে আগমন করেন তৎকালে মাণিকচাদও তাহার পশ্চাদ্বত্তী হইয়াছিলেন। মুরশিদকুলী ধ। মাণিকচাদকে রাজস্ব বিভাগের পেস্কারি পদ প্রদান করেন ও র্তাহার পরামশে মুরশিদাবাদে টাকশাল স্থাপন করিয়া মুদ্র প্রস্তুত করিতে প্রবৃত্ত হন। মুরশিদ কুলী খাঁ নাজিমি পদ লাভ করিলে, সম্রাট ফেরকসিয়ার র্তাহার অনুরোধে মাণিকচাদকে শেঠ উপাধি প্রদান করেন। মাণিকচাদ নিঃসন্তান পরলোক গমন করিলে তদীয় ভ্রাতুপুত্র ফতেচাদ পিতৃব্যের স্থলাভিষিক্ত হন।