বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २२8 ) গোরক্ষপুরের রাজার বিরুদ্ধে অভিযান করিয়াছিল। তৎকালে যে যুদ্ধ হইয়াছিল, তাহাতে কেশব আলি ও হায়দর আলির অনবধানত বশতঃ আবদুল হাসন খাঁ নিধন প্রাপ্ত হন। এই ঘটনায় মীর কাসেম ঐ ভ্রাতৃদ্বয়ের প্রতি সাতিশয় অসন্তুষ্ট হইয়াছিলেন। ইংরেজ-সেনানী কুটু সাহেব পাটনায় আগমন করিলে, ঐ উভয় ভ্রাতা প্রত্যুদগমন করিয়া র্তাহার অভ্যর্থনা করিয়াছিল। নবাব ইহাতে তাহাদের প্রতি অধিকতর রুষ্ট হইলেন এবং তাহাদিগকে ধৃত করিবার নিমিত্ত পাটনার শাসনকৰ্ত্তা রাজবল্লভের প্রতি আদেশ প্রদান করিলেন । ভ্রাতৃদ্বয় নবাবের আদেশ শ্রবণমাত্রই পলায়মান হইল, রাজবল্লভের লোকও তাহাদিগের অনুসরণে চতুর্দিকে গমন করিতে লাগিল ৷ একদা রাজবল্পভের অমুচরগণ ঐ অভিপ্রায়ে নগর প্রদক্ষিণ করিতেছিল, এমন সময় সায়র মোতাক্ষরীণ প্রণেতা সৈয়দ গোলাম হোসেন সাহেবের সহিত তাছাদের সাক্ষাৎ হইল। তাহার গোলাম হোসেন সাহেবকেই ভ্রাতৃদ্বয়ের মধ্যে অন্ততম মনে করিয়া অঙ্গুচরবর্গসহ তাহাকে ধৃত করিল। তিনি আত্ম-পরিচয় প্রদান করিয়া মুক্তিলাভের চেষ্টা করিলেন, কিন্তু তাহার সাহেবকে পরিত্যাগ དག། করিয়া রাজ বল্লভের সমক্ষে উপস্থিত করিল। সেস্থলে উপস্থিত হইয়া তিনি পুনরায় আত্ম-পরিচয় প্রদান করিলে, রাজবল্লভ সাতিশয় , লজ্জিত হইলেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া প্রভূত শিষ্টাচারের সহিত ঐ সৈয়দ নন্দনকে বিদায় প্রদান করিলেন (১)। - গয়াক্ষেত্রস্থিত বিষ্ণুপাদপদ্ম হিন্মুর পক্ষে অতীব পবিত্র তীর্থ। পাটনায় অবস্থান সময়ে রাজবল্লভ ঐ পাদপদ্মে প্রত্যহ তুলসী অর্পণ করিবার অভিপ্রায়ে, জনৈক পাণ্ডাকে বিক্রমপুরের অন্তর্গত মাছুয়ামন্ত্রী