বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ রাজবল্লভ সম্বন্ধে কয়েকটি কথা যে ব্যক্তি নাওয়ার মহালের ক্ষুদ্র মুহুরীর পদ হইতে ক্রমে উন্নতি লাভ করিয়া ঢাকা বিভাগ ও বিহার প্রদেশের শাসন-কত্ত্ব-পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন, র্তাহার প্রতিভা যে অসামান্ত, তাহ বলা বাছগ্য মাত্র। মুক্তহস্ততা বিষয়ে সমকালীন লোকদিগের মধ্যে কেহ রাজবল্লভের সমকক্ষ ছিলেন কি ন সন্দেহ। ১৮১৯ খৃষ্টাব্দে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার “রাজাবলী” নামক যে গ্রন্থ প্রণয়ন করেন, তাহাতে লিখিত আছে, *বাদসাহী দেওয়ান নবাব মহমৎজঙ্গ” ( নিধাইস মহম্মদ ) বড় দাতা ছিলেন। র্তাহার দেওয়ান রাজা রাজবল্লভ ছিলেন। তিনি বড় দাতা ছিলেন (১)। রাজবল্লভের মৃত্যুর ৩৭ বৎসর পরে এই গ্রন্থ বিরচিত হইয়াছে ; সুতরাং গ্রন্থকারের এই উক্তির প্রতি অবশুই আস্থা স্থাপন করা যাইতে পারে। পবিত্র তীর্থ বারাণসী ধাম, বদ্ধমান-শ্ৰীখণ্ড, মুরশিদাবাদ, রাজনগর এবং বিক্রমপুরের অন্যান্ত স্থানে রাজবল্লভ যে সমস্ত দেবালয় ও জলাশয়ের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, তাহার অধিকাংশের বিবরণ যথাস্থানে বর্ণনা করা হইয়াছে। এতদ্ভিন্ন তাহার প্রতিষ্ঠাপিত অন্য অনেক দেবালয় ও দীর্ঘিকার বিষয় বাহুল্য বোধে পরিত্যক্ত হইয়াছে । রাজবল্লভের ব্যয়ে খনিত সুদীর্ঘ “তালতলার খাল” দ্বারা পূৰ্ব্ববঙ্গের যে অশেষ উপকার সাধিত হইতেছে, তাহ পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করা হইয়াছে। (১) রাজাবলী, ১৪৯ পূঃ ।