পতিব্ৰতা বিবি ফ্যানশা । ゞ(営 瀛 পূজা করিতে লাগিলেন। সন্তানদিগকে লালন পালন ও সুশিক্ষিত করা তাহার জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। তিনি পুত্রের উপকারার্থ নিজ জীবন-বৃত্তান্ত লিখিয়া ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর ১৪ বৎসর পরে ৫৪ বৎসর বয়ঃক্রমে ১৬৮০ খৃঃঅব্দে জানুয়ারি মাসে তিনি মর্ত্য লীলা সম্বরণ করেন। স্বামীর প্রতি পতিব্ৰতার যাহা কৰ্ত্তব্য, ফ্যানশা নিয়ত তাহাই করতেন। তঁহীর জীবনচরিতে পতিব্ৰতা ধৰ্ম্মের ভুরি ভূরি দৃষ্টান্ত দৃষ্টিগোচর হয় ; তন্মধ্যে পতিআজ্ঞা পালনের বিষয় নিম্নে উদ্ধৃত হইল। আমার স্বামী এমত জ্ঞানবান ও সাধুশীল ছিলেন, এবং আমাকে এতাদৃশ ভাল বাসিতেন, যে আমি আপনাকে রাজ্ঞী ও উহাকে রাজমুকুট বিবেচনায় রাজকন্ত হওয়া অপেক্ষ ত{হার স্ত্রী হওয়াতে অধিক গৌরব বোধ করিতাম। বিবি রিবর্স তদেশীয় রাজার বিশেষ হিতৈর্ষিণী ছিলেন, এবং তদীয় রাজ্যের উন্নতির অtশয়ে বিস্তর ব্যয় করিতেন । তিনি আমাকে পরিজনের স্তায় স্নেহ করিতেন, আমিও উহাকে যথোচিত মান্য করিতাম | এক দিবস উপহার সহিত কথোপকথন করিতে করিতে তিনি কহিলেন, যে রাজব্যাপার জ্ঞাত থাকা সকলেরই কর্তব্য, এবং অনেক স্ত্রীলোক তাহ জানাতে সুখী হইয়াছে। কিন্তু তদ্বিষয় জাপি র আমার যে রূপ ক্ষমতা ছিল, তদ্রুপ কাহার স্ট্র ছিল না । যে দিবস আমি র্তী হার সহিত এইরূপ কথোপকথন করি, সেই রাত্ৰিভে পেরিস হইতে ডাকযোগে রাণীর পত্র আসিবার সম্ভাবনা
