বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহিলাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাল ট রান্টি | 8 ○ র্মিভাচার করিয়া ত্রিংশৎ বৎসর বয়ঃক্রমে প্রাণত্যাগ কারলেন ; পিতাও অতি প্রাচীন বস্থায় শোক প্রাপ্ত হইয়া অন্ধপ্রায় হইলেন ; টেবী নামক বহুকালের প্রাচীন ও বিশ্বস্ত দাসী পক্ষাঘাত রোগগ্রস্ত হইয়। নিতান্ত অশক্ত হইল । এই ঘোর বিপদ ক’লে শাল ট নিজে অসুস্থ থাকিয়াও ভগিনী-দ্বয়ের সাহায্যে তাহার কর্তব্য কৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম বিবেচনায় এমন আশ্চর্যারূপে নিৰ্বাহ করিলেন, যে তাহ স্মরণ করিলে আমাদিগের মনে তাহাদিগের প্রতি প্রেম ও ভক্তিভাবের উদয় হয়। এই দুঃসময়েই শাল ট ও তাহার ভগিনীদ্বয় পদ্যে রচিত একখানি গ্রন্থ প্রকাশ করেন । উক্ত গ্রন্থ সাধারণের সমাদৃত হইয়াছিল বটে, সি স্থ তাহাতে র্তাহাদিগের অনেক অর্থ ব্যয় হয় | পর বৎসর শাল ট “জেন আয়ার” ও “ফিলোজফর নামক দুই খানি কীব; গদ্যে লেখেন, এবং তাহার ভগিনীরাও এক একটা গল্প রচনা করেন। পিতা নিজ চক্ষের ছানী পরিস্কৃত করাষ্টয়া যৎপরে নাস্তি যন্ত্রণ ভোগ করিতেছিলেন ; শাল ট ভঁtহার সেবাশুশ্রুষায় নিযুক্ত থাকিয়া ও অবকাশ মতে “জেন আয়ার” কাব্য রচনা করেন । ঐ গ্রন্থ এপ্রকার উৎকৃষ্ট হইয়াছিল, যে পাঠকবৃন্দ তৎপাঠে চমৎকৃত হইলেন এবং লেখককে অগণ্য ধন্যবাদ প্রদান করিলেন । এই সময়ে অনেক লোক তাহাকে অনুরোধ করিলেন, যে তিনি উপযুক্ত বেতনে শিক্ষিকার কৰ্ম্ম স্বীকার করেন, কিন্তু পিতৃভক্তি প্রধান ধৰ্ম্মজ্ঞানে তিনি বাট হইতে কুত্রাপি গমন করিলেন না । তিনি কহিতেন যে, “আলোচনার