বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহিলাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

않 মহিলাবলী । ভিপ্রায় ছিল, সে প্রকার অণর কাহারও ছিল না, এবং কেহও তদ্রুপ কৃতকার্য হইতে পারেন নাই। উক্ত কৰ্ম্মসাধনে বলবান ও ধনবান ব্যক্তি অপেক্ষ তাহার অধিক কষ্ট হইয়াছিল। যাবজ্জীবন তিনি পরিশ্রম ও ক্লেশ সহ্য করিয়াছিলেন, কিন্তু আশু সুখের প্রত্যাশায় কখনই তাহ পরিত্যাগ করেন নাই' । শার্লটের লেখাতেও এই অতিপ্রায় সপ্রমাণ হইতেছে। এ বিষয়ে তিনি এক জন বন্ধুকে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহার কিয়দংশ নিম্নে উদ্ধৃত হইল । যথা—“তোমার যে বিষম দ্বিধ উপস্থিত হইয়াছে, তাহা আমি বুঝিয়ছি। দুইটা পথের মধ্যে যেটা যথার্থ অথচ ক্লেশদায়ক, সেইটাতেই চলিতে তোমার ধৰ্ম্মজ্ঞান তোমাকে উৎসাহ প্রদান করিতেছে । কিন্তু নির্দয় ও বন্ধুহীম জনসমাজে প্রবেশপূৰ্ব্বক শিক্ষিকার পদ গ্রহণ করিয়া জীবিক নিৰ্ব্বাহ করা অথবা বাট থাকিয়া অন্নাভাবে কষ্টসহ করত বৃদ্ধ মাতার সেবায় নিযুক্ত থাকা তোমার কর্তব্য কি না, তাহা তুমি স্থির করিতে অশক্ত। এ বিষয়ে আমার যে অভিপ্রায় তাহা অকপটে প্রকাশ করিতেছি । যে পথে গমন করিলে আত্মসুখ বর্জিত ও পরসুখ বৰ্দ্ধিত হয়, সেই ধৰ্ম্মপথ , এবং যে ব্যক্তি তাহ অবলম্বন করে, তাহার প্রথমে ক্লেশ ও পরে সুখসৌভাগ্য ঘটিয়া থাকে। তোমার মাত বৃদ্ধ ও জীর্ণ এবং এ প্রকার ব্যক্তিদিগের সুখের উপায় শারীরিক স্বাস্থ্যবিশিষ্ট যুবকদিগের অপেক্ষা অতাল্প, অতএব তঁtহtfদগের সেই অতাল্প সুখ বঞ্চিত করা নিতান্ত নিঠুরের কৰ্ম্ম । যদ্যপি তুমি নিকটে থাকিলে