পাতা:মহিলাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফুেরেন্স নাইটেনগেল । ৬৭ র্তাহীর দৃঢ়তা দেখিয় অনেক স্ত্রীলেশক তঁহার সমন্তিব্যাহারে গমন করিলেন । তার ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্ম বলম্বিনী অঙ্গনাগণও নিজ নিজ মতের অনৈক্যতার প্রতি কিঞ্চিৰ্ম্ম ত্র মনোযোগী না হইয় কেবল সাধারণের উপকারের প্রতি দৃষ্টি করত এক গ্রচিত্তে র্তাহার অমুগামিনী হইলেন । অনেকে ঐ সৎকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত ন হইয়াও এই ধৰ্ম্মপরায়ণ মহিলাগণের ইয়ুরোপ যাত্রা কালীন ভাহাদিগকে যথেষ্ট সম্ম ন করিলেন। নাইটেন গেলের সীমান্য পরিচ্ছদ দর্শনে পেরিস নগরবাসীর বিস্ময় পন্ন হইল ; কিন্তু তিনি তাহীতে কিছুমাত্র মনোযোগ না করিয়া ত্বরায় ৫ই নবেম্বর তারিখে স্কুটারিও নগরস্থ চিকিৎসালয়ের অধ্যক্ষত পদ গ্রহণ করিলেন । নইটেন গেল তথায় উপস্থিত হইব মুত্র, ইনকরমনের যুদ্ধ-ক্ষেত্রে আহত অনেক যোদ্ধা আইল । রোগীদিগের চিকিৎস ও শুশ্ৰষ বিষয়ে গবর্ণমেন্টের যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তাহ অতি অপকৃষ্ট ; অতএব, নাইটেনগেল ও র্তাহার সঙ্গিনীগণ সে স্থানে উপস্থিত থাকিয় দৃঢ়ভ ও একাগ্রত সহকারে রাজপুরুষদিগকে আপন আপন কর্তব্য কৰ্ম্ম উত্তমরূপে সম্পন্ন করিতে বিশেয উপদেশ প্রদান না করিলে যুদ্ধক্ষেত্র অপেক্ষ উক্ত চিকিৎসালয়ে দ্বিগুণ প্রাণিবধ হইত। যৎকালে ইংলণ্ড হইতে প্রেরিত সৈন্যের অবশ্যকীয় দ্রব্যাদি রাজপুরুষদিগের ঔদাস্তে বেলীক্লাভার তুষারে অথবা কনেন্ট টিনোপলের কৰ্দমোপরি নষ্ট হইতেছিল, তখন নাইটেনগেল প্রগাঢ় অনুরাগ সহকারে এক এক সময়ে ক্রমাগত বিংশতি