পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अछि ७ अप्रांबड़ी 25ना । to দেখিতে পাওয়া যায় না। মধুসুদন গ্ৰীক আদর্শে র্তাহার তিনখানি গ্রন্থে শচীদেবীর চরিত্র অবতারণা করিয়াছেন। প্ৰত্যেক গ্রন্থেরই বৰ্ণিত চরিত্র পরস্পর হইতে বিভিন্ন। বৃত্ৰসংহারে যে মহিমাময়ী রাজী শচীদেবীকে আমরা দেখিতে পাই, তিলোত্তমাতেই তাহার প্রথম রেখাপাত হইয়াছে। পদ্মাবতীর শচীচরিত্র হিন্দুপুরাণানুযায়ী নহে; ইহা গ্ৰীক আদর্শে কল্পিত । গ্ৰীক পুরাণের জুনে ক্রুরস্বভাবী, ঈৰ্ষাপরায়ণ, সৌন্দৰ্য্যাভিমানিনী এবং অসহনা । সপত্নী-সন্তানদিগকে তিনি অমানুষিক যন্ত্রণা প্ৰদান করিয়াছিলেন ; স্বামীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উত্থাপন করিতেও তিনি কুষ্ঠিত হন নাই। পারিসের অতি তুচ্ছ অপরাধের জন্য তিনি ট্রয়নগরীর সহস্ৰ সহস্র নিরপরাধ নরনারীর সর্বনাশ করিয়াছিলেন। গ্ৰীক পুরাণের এই জুনোকে হিন্দু বেশভূষা প্ৰদান করিয়া মধুসূদন পদ্মাবতীর শচীরূপে অবতারিত করিয়াছেন। গ্রীকদেবী জুনোর ন্যায় পদ্মাবতীর শচীও সৌন্দৰ্য্যাভিমানিনী, ঈৰ্ষাপরায়ণ এবং প্ৰতিদ্বন্দিনীর উপর জয়লাভের জন্য সদসদবিচােররহিতা । সৌন্দৰ্য্যবিচারে তিনি ও মুরজাদেবী উভয়েই পরাজিত হইলেও, প্ৰধানতঃ, তাহারই উদযোগে পদ্মাবতীর এবং রাজা ইন্দ্ৰনীলের তাদৃশ দুর্দশা ঘটয়াছিল। স্বামীর সঙ্গে পদ্মাবতীর বিচ্ছেদ সংঘটন করাইয়াই তিনি পরিতৃপ্ত হন নাই ; রাজা ইন্দ্ৰনীল যুদ্ধে হত হইয়াছেন, এই অলীক সংবাদও তিনি পদ্মাবতীকে প্রেরণ করিয়াছিলেন । তঁহার এইরূপ নিষ্ঠুর প্রকৃতির সহিত বৈষম্যে কবি অপেক্ষাকৃত কোমলস্বভাবা মুরজাদেবীর চরিত্র পরিস্ফুটনের সমধিক সুযোগ প্রাপ্ত হইয়াছেন। মুরজা, রাজা ইন্দ্ৰনীলের ব্যবহারে অভিমানিনী হইলেও, শচীদেবীর ন্যায় সদস্যুদ-জজ্ঞানশূন্য নহেন। ইন্দ্ৰনীলের দণ্ডের জন্য নিরপরাধা বালিকা পদ্মাবতীকে চিরদুঃখিনী করিতে তাহার ইচ্ছা! ছিল না ; প্ৰবল সহযোগিনীর ভয়েই তিনি তঁহার অনিষ্টাচরণে প্ৰবৃত্তা