পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শীর্ণ বলদ দুটোকে সতেজ করে তোলবার জন্যেই কানাই তাদের লেজে মোচড় দিয়ে গলা ফাটিয়ে চীৎকার করে। লেজের মোচড়ে বিব্রত হয়ে গলার ঘণ্টা জোরে জোরে । বাজিয়ে বলদ দুটো উর্ধশ্বাসে দুটিতে থাকে। প্ৰস্তুত না থাকার জন্যে হঠাৎ ঝাকুনির চোটে গরুর গাড়ীর মধ্যে দুর্বল গোবিন্দ গড়িয়ে পড়ে রেবতীর গায়ের ve93 শীতের কনকনে বাতাসটা সাপের ছোবলের মতোই মনে হয় বটে তার। রেবতীকে হাসতে দেখে তাজব বনে যায় গোবিন্দ । এক জায়গার পাট তুলে অন্য কোথাও বাসা বঁধতে DBBBD BBBS DBD D BBBD DB qDBDDDS DB DDD গোবিন্দের । রেবতীর হাসির হদিস পাওয়া সাধ্যিতে কুলোয় না। তার। অদম্য কৌতুহল চেপে রাখতে না পেরে গোবিন্দ জিজ্ঞাসা করে, হাস কেন বৌ ? জবাব দেয় না রেবতী । কুলির বেী হয়ে কুলিকে বঁচিয়ে রাখতে চলেছে বলেই, কুলির সুখে দুঃখে লড়ায়ে অংশ গ্ৰহণ করতে পারবে মনে করেই গ্ৰাম ছেড়ে যাওয়ার বিষাদ জুড়িয়ে যায়। রেবতীর। হাসি ফোটে সেই কারণেই। কথাটা গোবিন্দকে বলবার ভাষা জোগায় না মুখে। SVOVO