পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্জন বুক ঠুকে একটু চালাকি করে ডাক্তারের ঘরে ঢুকে পড়েছিল। হাত জোড় করে সবিনয়ে জানিয়েছিল যে সেদিনের সাপে-কাটা মানুষটাকে প্ৰাণদান করেছিল যে মেয়েট, ডাক্তারবাবু যার খুব প্ৰশংসা করেছিল, সেই মেয়েটি এসেছে। ওই সাপের বিষের ক্রিয়াতেই বড় কষ্ট পাচ্ছে মেয়েটি । তড়বড় করে কথাগুলি বলে যায় অজুন। বলতে বলতে সুনীলের ধমক খেয়ে বেরিয়ে আসে। সুনীল ধমকে বলে, খুব ভোরে এসে আগে নাম লেখাতে পারেনি ? কুঞ্জ বলে, শোনেনি তোমার কথা, বোঝেনি তুমি কি বলছি। ভারি ব্যস্ত তো । নইলে সেদিন অমন করে। বুতির গুণ গাইলেন, বললেন কি এরকম মেয়েকে সরকারী পুরস্কার দেওয়া উচিত, মিটিং করে সম্মান দেওয়া উচিত। সেই মেয়েট হাসপাতালে এসেছে শুনেও কি এরকম করতে পারেন ? রোগীর কি ভিড় দেখছি তো । তোমার কথা শুনতেই পাননি। তাই হবে। সাতটার আগে এসেছিল, দশটার পর রেবতী ডাক্তার বাবুর কাছে যাবার হুকুম পায়। অর্জন আরেক বার এই অল্পবয়সী বিশেষ রোগিণীটির বিশেষ কাহিনী বিশদভাবে বলতে গিয়ে ধমক খেয়ে চুপ করে যায়। রেবতীর মুখটা ও-রকম বিকৃত হয়ে না থাকলে কি ঘটত ख्रथ) दवा यश की । S8