পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন আবার সভা গুঞ্জরিত হয়ে ওঠে। সভা চলার সময়, স্বয়ং খগেনের বক্তৃতা চলার সময়, যে বক্তৃতা শুনে তারা আধঘণ্টা মুগ্ধ অভিভূত হয়েছিল। এই সভার ব্যবস্থা করতে কুমারেশ পুরো দুটাে দিন আদা-নুন খেয়ে কাছাখোলা খাটুনি খেটেছে। সভার এই ভাব দেখে সে যায় চটে। ভাবে, জোরে একটা ধমক দিলে সবাই ধাতস্থ হবে, অভিভূত হয়ে বক্তৃতা শুনবে। বঁশের গড় মঞ্চ । তক্তপোষাও জোটেনি। বঁাশও আজকাল সস্তা নয়। সহরে অসম্ভব ইটের বাড়ী উঠছে। ইটের বাড়ী তুলতে কত যে বঁাশের দরকার হয় আশেপাশের চার পাঁচটা গায়ের একমাত্ৰ বংশীধর যেন সেটা টের পেয়েছিল। সকলের আগে । कूअल 6न थ७द्र श्व। डिन-5ांद्र निन अरुद्ध फ़ांब्रिनिक থেকে সংগ্ৰহ করা বঁাশ গরুর গাড়ীতে চাপিয়ে সে থানার পেটা ঘড়ি অনুসারে প্রায় রাত আড়াইটে-তিনটের সময় রওনা হয় । সদরের দিকে নয়। সোজা কলকাতার দিকে । গেয়ে চাষা শ্রোতাদের সভাস্থ ধাতস্থ করার জন্য কুমারেশ উঠে দাড়াতেই খগেন তাকে যেন গায়ের জোরেই পিছু হটিয়ে দেয়। নীচু-গলায় ধমক দিয়ে বলে, বাহাদুরি কোরো না। নেতাগিরি ফলিও না । জানো না বোঝে না, কর্তালি কোরো না। ওরা হৈ-চৈ করছে, করতে দাও । আমি Vo