পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দ হাত গুটিয়ে নিয়ে হকের হেদায় মুখ দিয়ে জোরে টেনে কাসতে কাসতে প্ৰায় বেদম হয়েও হাসে। মাথা খারাপ, আমি নিয়ে যাব কি রকম ? নিয়ে যেতে আসিনি। কেমন আছে। ওর মুখ থেকে জেনে বুঝে যাবগিয়ে মা-বাপের মন ঠাণ্ড করব। গোবৰ্দ্ধন বলে, অ ! ভিতরে গিয়ে রেবতীকে জিজ্ঞাসা করে, চিনিস তো भांड्र्रक्षाँांक ? রেবতী বলে, ওমা, বাচ্চ বয়েস থেকে ওকে চিনি না ? গোবৰ্দ্ধন মস্ত একটা হাই তুলে উদাসীনের মত বলে, যা তবে, কথা বলগে যা। ছোট কলকে নিয়ে ঘাটে গিয়ে বসছি-কথা শুনতে পাব না। বাড়াবাড়ি করিস না। কিন্তু --মেরে ফেলব, কেটে ফেলব। ছোট কলকি মানে গাজা । ঘাটে বসে গাঁজার কালকেয় টান দিতে দিতে সে চোখ মেলে শুধু দেখতে পারবে তাদের কাণ্ড-কারখানা—তাদের কথাবার্তা শুনতে পাবে না । গেয়ে গাঁজাখোর গুরুজনের কি আশ্চৰ্য উদারতা । প্ৰায় আধুনিকতা বলা যায়। একটানা কত কথাই যে গোবিন্দ বলে যায়। অনেক বার নিশ্বাস টেনেই অবশ্য বলে, এক নিশ্বাসে নয়। অন্ত কথা এক নিশ্বাসে বলতে গেলে সুরুতেই দিম আটকে tats (e. Q